Hazrat Ibrahim Ke Waqiyat

Book Name:Hazrat Ibrahim Ke Waqiyat

    তিরমিযী শরীফে রয়েছে: مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الحِجَّةِ অর্থাৎ আশরায়ে যিলহজ্জে ইবাদত করা আল্লাহ পাকের কাছে সাধারণ দিনগুলোর তুলনায় বেশি প্রিয়, يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ এই দিনগুলোতে একদিনের রোযা এক বছরের রোযার সমান وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ এবং এই দিনগুলোর প্রত্যেক রাতের কিয়াম (অর্থাৎ জেগে ইবাদত করা) শবে কদরের কিয়ামের সমান

(তিরমিযী, কিতাবুস সওম, পৃষ্ঠা: ২১১, হাদীস: ৭৫৮)

    হে আশিকানে রাসূল! চিন্তা করুন! কত প্রিয় এবং ফযীলতপূর্ণ দিন, কেমন মহান রাতগুলো! এই দিনগুলোতে একটি নেকীর সওয়াব ৭০০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, এই দিনগুলোতে নেকী করা افضل (উত্তম) নেকী, এই দিনগুলোতে একদিনের রোযা রাখা বছরের রোযার সমান, এই দিনগুলোর রাতগুলোতে কিয়াম করা (অর্থাৎ রাতে জেগে ইবাদত করা) শবে কদরে ইবাদত করার সমান

 

প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নফল রোযা রাখতেন

    মুসলমানদের প্রিয় আম্মাজান হযরত হাফসা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আশরায়ে যিলহজ্জে নিয়মিতভাবে নফল রোযা রাখতেন (সহীহ ইবনে হিব্বান, পৃষ্ঠা: ১৭০৩, হাদীস: ৬৪২২)

    খেয়াল রাখবেন! আশরায়ে যিলহজ্জের রোযার মানে হলো: যিলহজ্জের প্রথম দিনের রোযা, কারণ ১০ই যিলহজ্জ (অর্থাৎ ঈদুল আযহা) এর দিন রোযা রাখা জায়েয নেই

    হায়! আমরাও যদি নেকীর প্রতি আগ্রহী হয়ে যাই! আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আশরায়ে যিলহজ্জের রোযা রাখতেন, হায়! আমরাও যদি এই আদায়ে মুস্তাফা (নবীর সুন্নত) কে আদায় করার জন্য নফল রোযা রাখি, নামায পড়ি, ইবাদত করি, কারণ এই উপার্জনই কবর হাশরে কাজে আসবে, বাকি সবকিছু তো এখানেই ছেড়ে যেতে হবে, তাই নেকীর আকাঙ্ক্ষা বাড়ানো উচিত, আশরায়ে যিলহজ্জের একটি নেকী ৭০০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, সুতরাং এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন এবং (প্রচুর) নেকী করুন