Book Name:Hazrat Ibrahim Ke Waqiyat
মেহমানদারীর বাকি সুন্নাত ও আদব
ঘর বা খাবার ইত্যাদি বিষয়ে কোনো প্রকার সমালোচনা করবে না, আবার মিথ্যা প্রশংসাও করবে না। মেযবানও মেহমানকে মিথ্যার ঝুঁকিতে ফেলার মতো প্রশ্ন করবে না, যেমন—বলা যে, আমাদের খাবার কেমন লাগলো? আপনার পছন্দ হয়েছে কি না? এমন পরিস্থিতিতে যদি পছন্দ না হওয়া সত্ত্বেও মেহমান সৌজন্যবশত খাবারের মিথ্যা প্রশংসা করে, তাহলে সে গুনাহগার হবেا (এই ধরনের) প্রশ্নও করবে না যে, ” (আপনি কি পেট ভরে খেয়েছেন নাকি খাননি?)” কারণ এখানেও উত্তরে মিথ্যার আশঙ্কা থাকে যে, অভ্যাসবশত কম খাওয়া বাবিশেষ খাদ্যাভ্যাস বা কোনো বাধ্যবাধকতার কারণে কম খাওয়া সত্ত্বেও, পীড়াপীড়ি এড়াতে মেহমানকে বলতে হতে পারে যে” আমি খুব পেট ভরে খেয়েছি। মেযবানের উচিত মেহমানকে সময়ে সময়ে বলা যে,” (আরও খান) কিন্তু তার উপর পীড়াপীড়ি করবে না। (আলমগীরী, ৫/৩৪৪) কখনো কখনো পীড়াপীড়ির কারণে বেশি খেয়ে ফেলতে পারে এবং তা তার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মেযবানের একেবারে চুপচাপও থাকা উচিত নয়, আবার এমনও করা উচিত নয় যে, খাবার রেখে (অদৃশ্য) হয়ে যাবে, বরং সেখানে (উপস্থিত) থাকবে। (আলমগীরী, ৫/৩৪৫)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক সুন্নাতে -ভরা ইজতিমার সময়সূচী অনুযায “যমযম এর পানি পান করার সময়ের দু'আ” মুখস্থ করানো হবে। সেই দু'আটি হলো:
اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَسْتَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَ رِزْقًا وَاسِعًا وَ شِفَاءٌ مِّنْ كُلِّ دَاء -
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী ইলম, প্রশস্ত রিযিক এবং সর্বপ্রকার রোগ থেকে আরোগ্য লাভের প্রার্থনা করছি।
(মাদানী পাঞ্জ সূরা, পৃ. ২১৪)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد