Yaqeen Ki Barkatain

Book Name:Yaqeen Ki Barkatain

মানুষদেরকে নেকীর দাওয়াত দেওয়া শুরু করলেন নমরুদের এই সব কিছু কিভাবে সহ্য হতে পারে? এই হতভাগা একটি বড় আগুন জ্বালানোর হুকুম দিল, অতঃপর অনেকদিন পর্যন্ত লাগড়ী জমা করা হলো, চারটি বড় প্রাচীর বানিয়ে দেওয়া হল, এক বড় আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল কিতাবে লিখা রয়েছে, এটা এত বিশাল আগুন ছিল যে, এর উপরের কয়েক মিটার উচ্চতা পর্যন্ত পাখি সেই আগুনের উপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারত না, কোন পাখি অতিক্রম করলে জ্বলে পুড়ে নিচে পড়ে যেত, এত বিশাল আগুন জ্বালানো হল, এবার মিনজানিক (গুলেলের মত পাথর নিক্ষেপ করার মেশিন) প্রস্তুত হল, হযরত ইব্রাহিম عَلَیْہِ السَّلَام কে মিনজানিকে রেখে আগুনের দিকে ছুড়ে মারা হল ....!!

(কুরতুবী, পারা ১৭, সূরা আম্বীয়া, আয়াত: ৬৮, খণ্ড , পৃঃ ১৪৬)

    এবার এখানে অকাট্য বিশ্বাসের অবস্থা দেখুন! শুধুমাত্র আগুনে নিক্ষেপ করার ধমকই দেওয়া হয়নি, আগুনে নিক্ষেপ করার শুধুমাত্র দিন এবং সময় নির্ধারন করা হয়নি, এমন নয় যে, এখনো আগুনোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল বরং আগুনে ছুড়ে মারা হল বিলা তামছীল অর্থাত (শুধুমাত্র বুঝানোর জন্য) আরজ করব: কাউকে বন্ধি করা হলে আশা করা যায় যে, বাঁচার কোন পথ বের হতে পারে, কাউকে শাস্তির বার্তা শুনিয়ে দিলে, তখনো আশা করা যায় যে, মুক্তির কোন উপায় বের হতে পারে, এখানে এই ব্যাপার নয়, হযরত ইব্রাহিম عَلَیْہِ السَّلَام কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলো অর্থাৎ আশা ভরসার সময় শেষ হয়ে গেছে, এখন ওই মুহুর্ত, সাধারণ লোকদের এই মুহুর্তে সকল আশা শেষ হয়ে যায় কিন্তু উৎসর্গ হয়ে যান! তিনি হযরত ইব্রাহিম عَلَیْہِ السَّلَام তিনি উপমাহীন ঈমানদার বুযুর্গ, শ্রেষ্ট অকাট্য বিশ্বাসী ব্যক্তি রেওয়ায়েতে লিখা হয়েছে : যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হল, তখন হযরত জিব্রাইল عَلَیْہِ السَّلَام উপস্থিত হলেন, আরজ করলেন: হে ইব্রাহিম! কোন সাহায্যের প্রয়োজন হলে বলুন! বললেন: সাহায্যের প্রয়োজন তো আছে তবে হে জিব্রাইল! আপনার কাছ থেকে নয় আরজ করলেন: তো যার কাছে প্রয়োজন, তাঁর কাছেই আরজ করুন! বললেন: حَسْبِيْ مِنْ سُؤَالِیْ ‌عِلْمُهٗ ‌بِحَالِيْ অর্থাৎ হে জিব্রাইল! আমি কোন অবস্থায় আছি,রাব্বে করীম জানেন, তাঁর জানাটা আমার চাওয়ার চেয়ে অধিক উত্তম (কুরতুবি, পারা ১৭, সূরা আম্বীয়া, আয়াত: ৬৮, খণ্ড , পৃঃ ১৪৬)