Book Name:Muy e Mubarak Ke Waqiat
সদরুশ শরীয়া, বদরুত তরীকা মুফতী আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ বাহারে শরীয়ত, ১৬তম অংশে লিখেন, (১) পুরুষের জন্য এটা জায়িয নেই যে, মহিলাদের মতো চুল বৃদ্ধি করবে। অনেক সুফী বেশধারী লোক লম্বা লম্বা ঝুঁটি বানিয়ে থাকেন, যা বুকের উপর সাঁপের মতো ঝুলে থাকে। এটা নাজায়িয ও শরীয়তের পরিপন্থী। চুল লম্বা করা ও বিভিন্ন রংয়ের কাপড় পরিধান করার নাম তাসাউফ নয়। বরং রাসূলে খোদা
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পরিপূর্ণ অনুসরণ ও নফসের চাহিদাকে নিঃশেষ করার নাম হলো তাসাউফ । (২) তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র মাথায় চুল রেখে গর্দানের চুল মুন্ডানো মাকরুহ। (৩) আজকাল মাথায় হুড রাখার প্রচলন বেড়ে গেছে এমনভাবে যে, লোকেরা চারিদিকের চুল খুবই ছোট ছোট আর মাঝখানের চুলগুলো বড় করে রাখে। এটি অমুসলিমদের অনুসরণ করা হচ্ছে, যা নাজায়িয। (বাহারে শরীয়ত, ৩/৫৮৭, ১৬তম অংশ)
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সুন্নাতের প্রতি ভালবাসা নসীব করুন।
আহ! আমরা রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাতের উপর যদি আমলকারী হয়ে যেতাম। আমাদের চুল, পোশাক, চলা-ফেরা, উঠা-বসা সবকিছু সুন্নাত অনুযায়ী হয়ে যেতো।
চুল মুবারক বণ্টন করে দাও
বিদায় হজ্বের সময় হযরত আনাস বিন মালেক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন, হুযুরে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মিনা শরীফে তাশরিফ নিয়ে আসলেন। জামারাতুল উকবায় কংকর নিক্ষেপ করার পর কুরবানী করে নিজের স্থানে তাশরিফ আনলেন। অতঃপর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নাপিতকে ডাকলেন আর আপন মাথা মুবারকের ডান দিক থেকে চুল মুবারক মুন্ডালেন এবং হযরত আবু তালহা আনসারী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে তা দান করলেন। এরপর অন্তরের দিকের (অর্থাৎ বাম দিকের) চুল মুবারক মুন্ডালেন আর তাও হযরত আবু তালহা আনসারী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে দান করে দিলেন আর ইরশাদ করলেন, এসব চুলগুলো মানুষের মাঝে বণ্টন করে দাও।
(মুসলিম, ৪৮৫ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৩০৫)