Muy e Mubarak Ke Waqiat

Book Name:Muy e Mubarak Ke Waqiat

 

    সুতরাং মিলাদের মাসে ঘর সাজানো, পতাকা লাগানো, আলোকসজ্জা করা, মিলাদ উদযাপন করা, লঙ্গর করা, গরীবদের খাবার খাওয়ানো, মাহফিল করা, জুলুসে যাওয়াও পরিপূর্ণভাবে জায়িয কেননা আশিকানে রাসূল মিলাদ শরীফের খুশিতে এসবকিছু ইশকে রাসূলের কারণেই করে থাকে এবং এই বিষয়গুলো শরীয়তের পরিপন্থীও নয় সুতরাং এটাকে নাজায়িয বিদআত কিভাবে বলা যেতে পারে ?

 

 প্রতিটি রোগের অনন্য ঔষধ

    হুদায়বিয়া নামক স্থানে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم চুল মুণ্ডিয়ে সমস্ত চুল একটি বৃক্ষে রাখলেন সাহাবায়ে কেরামগণ رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ বৃক্ষের নিচে একত্রিত হয়ে গেলেন এবং পর্যায়ক্রমে তাঁরা সেই চুল মুবারক একে অপরের থেকে নিতে লাগলেন হযরত উম্মে আম্মারা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন, ঐসময় আমিও কিছু চুল সংগ্রহ করেছিলাম রাসূলে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর যাহিরী ওফাতের পর যখন কেউ রোগাত্রুান্ত হতো, তখন আমি মুবারক চুলগুলো পানিতে ডুবিয়ে রোগীকে পান করাতাম, اَلْحَمْدُ لِلّٰه চুল মুবারকের বরকতে আল্লাহ পাক রোগাক্রান্তকে আরোগ্য দান করতেন

(মাদারিজুন নবুয়ত, ২১৭ পৃষ্ঠা)

 

চুল মুবারকের যিয়ারত করার সৌভাগ্য হয়েছে

    হযরত ওসমান বিন আব্দুল্লাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন, মুসলমানদের মা হযরত উম্মে সালমা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর নিকট চুল মুবারক রক্ষিত ছিলো তিনি সেগুলোকে রুপার বক্সে অত্যন্ত আদব সহকারে রেখেছিলেন যখন কারো বদনজর লাগতো তখন তাকে হযরত উম্মে সালমা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর নিকট পাঠিয়ে দেওয়া হতো হযরত উম্মে সালমা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا চুল মুবারক বের করতেন, সেগুলো পানিতে ডুবাতেন এবং রোগীকে পান করাতেন (এতে রোগীর আরোগ্য নসীব হতো)