Book Name:بِسْمِ اللہ Ki Barkatein
কার? সকালে উঠেই যার মুখ দেখেছিলো তার, নাকি সেই কালো বিড়ালের যেটা পথের সামনে পড়েছিলো। اَلْاَ مَانُ وَ الْحَفِيْظ
হে আশিকানে রাসূল! দোষ সফর মাসেরও না, অসহায় বিড়ালেরও না, দোষ হলো আমাদের নিজেদের। ভালো কাজের শুরু আল্লাহ পাকের নাম দিয়ে করলে, আল্লাহ পাকের দরবারে শুকরিয়ার সিজদা আদায় করলে অবশ্যই বরকত হতো। যদি শয়তানকে খুশি করার কাজ দিয়ে দিনের শুরু হয় এবং আল্লাহ পাকের নাম নেওয়া না হয়, তাহলে সেখানে বরকত কোত্থেকে আসবে?
بِسْمِ اللهِ শরীফের প্রেমিকা
শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত, হযরত আল্লামা মাওলানা আবু বিলাল মুহাম্মাদ ইলইয়াস আত্তার কাদিরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর রচিত গ্রন্থ ফয়যানে সুন্নাতে রয়েছে, একজন মুবাল্লিগ ইজতিমায় بِسْمِ اللهِ শরীফের ফযীলত বর্ণনা করছিলেন। একজন অমুসলিম মেয়ে بِسْمِ اللهِ শরীফের ফযীলত শুনে অত্যন্ত প্রভাবিত হলো এবং ইসলাম কবুল করলো। তাঁর মুখে بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ এর ওয়াযীফা জারী হয়ে গেলো। উঠতে, বসতে, শয়নে জাগরণে, চলতে ফিরতে, সবসময় بِسْمِ اللهِ পড়তে লাগলো। এ কারণে মেয়েটির মা বাবা তাঁর উপর খুবই নারাজ হলো আর নানান ভাবে তাকে কষ্ট দিতে লাগলো। এমনকি ইসলামের প্রতি বিদ্বেষের কারণে, যে কোনো অভিযোগ আরোপ করে নিজের মেয়েকে (আল্লাহর পানাহ!) মেরে ফেলার অপচেষ্টা করতে লাগলো। অতএব, একদিন তার বাবা (সে ঐ সময়কার বাদশাহর উযীর ছিলো) বাদশাহি মোহরাঙ্কিত একটি আংটি মেয়েকে রাখতে দিলো। মেয়েটি بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বলে তা নিলো এবং بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ পড়ে পকেটে রেখে দিলো। রাতে যখন সে ঘুমালো, তখন তার বাবা পকেট থেকে তা সরিয়ে নিয়ে নদীতে ফেলে দিলো। একটি মাছ তা গিলে ফেললো। সকালে একজন জেলে ঐ নদীতে জাল ফেললে ঘটনাক্রমে ঐ মাছটিই জালে ধরা পড়লো। সে মাছটি নিয়ে উযীরকে উপহার দিলো। উযীর তা নিয়ে মেয়েকে রান্না করতে দিলো। সে بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বলে মাছটি নিলো। যখন بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বলে মাছটির পেট কাটলো, তখন তার পেট থেকে ঐ আংটি বেরিয়ে এলো। সে بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ বলে তা