Book Name:بِسْمِ اللہ Ki Barkatein
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! একটু ভাবুন, এটা কী ধরনের বঞ্চনা যে, ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের আগে بِسْمِ اللهِ শরীফ পাঠ না করার কারণে কাজগুলো অসম্পূর্ণ থেকে যাচ্ছে, তাতে বরকত হচ্ছে না। এখন হয়তো মনে মনে এই ধারণা আসতে পারে - আমি তো بِسْمِ اللهِ পড়ি না, তবুও তো আমার কাজ হয়ে যাচ্ছে। এর জবাব হলো, কোনো কাজ আপাতদৃষ্টিতে সম্পন্ন হওয়া এক জিনিস আর তাতে বরকত না হওয়া আরেক জিনিস। যেমন- কেউ যদি بِسْمِ اللهِ না পড়ে খাবার খায় বাহ্যিকভাবে খাবার গলার নিচে চলে যাবে - ঠিক; কিন্তু তাতে যদি বরকত না হয় আর খাবার পুরোপুরি হজম না হয়ে শরীরের অংশে পরিণত না হলে তখন ? আজকাল এই ধরনের সমস্যা ব্যাপক হয়ে গেছে। কাজ অনেক হচ্ছে, ইনকামও ভালো কিন্তু তারপরও তা যথেষ্ট না। খাবার খাওয়া হচ্ছে কিন্তু শরীরে টের পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেরই অভিযোগ- দিনকাল ভালো যাচ্ছে না, স্বর্ণে হাত দিলে তাও মাটি হয়ে যায় - এমন অবস্থা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ - তারা কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু পড়া মনে থাকে না ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব সমস্যার বহু কারণ আছে, তার মধ্যে একটি কারণ হতে পারে بِسْمِ اللهِ শরীফ দিয়ে কাজ শুরু না করা।
আমাদের মাঝে একটি রোগ খুব বেড়ে গেছে যে, মানুষ নিজের ভুল স্বীকার করে না, অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়। এই যেমন; * এখন সফরুল মুযাফফারের বরকতময় মাস চলছে। এই মাসে কেউ বিয়ে করেছে, খুব ঢোল তবলা বাজানো হয়েছে, সারারাত গান বাজনা, নাচের পার্টির আয়োজন করা হয়েছে, শয়তানকে খুব খুশি করা হয়েছে। এখন, আল্লাহ না করুক সেই বিয়ে যদি অটুট থাকার বদলে ভেঙে যায় তাহলে কিছু লোক বলাবলি করবে - দেখলে তো, সফর মাসে বিয়ে করেছিলো, সফর মাস তো এমনিতেই অশুভ মাস। * সকালে ফজরের নামাযের সময় পার হওয়ার পর হাই তুলতে তুলতে আরামসে বিছানা থেকে উঠলো, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে দোকানে বা অফিসে পৌঁছলো, পথিমধ্যে কোনো সমস্যা হলো, আয় কম হলে কিংবা বস ঝাড়ি দিলে, দোষ