Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

    গাউছে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরো বলেন, নফসে আম্মারাহ মন্দের উৎস, যদি মানুষ সাধনা করে (অর্থাৎ নিজেকে কষ্টের মধ্যে ফেলে, প্রতিটি পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাঁর  রাসূলের আদেশ পালন করে তাহলে ধীরে ধীরে) নফসে আম্মারাহ নফসে মুতমায়িন্নাতে রূপান্তর হয়ে যায়, যখন নফসে আম্মারাহ নফসে মুতমায়িন্নাতে রূপান্তর হয় তখন এমন হয় যে, মানুষ আনুগত্য করে, গুনাহ পরিহার করে, এই স্তরে পৌঁছে মানুষের আত্মা ভালো হয়ে যায়, তখন মানুষ দৈহিক কামনা-বাসনা পরিহার করে এবং মহান আল্লাহ পাকে উপর পূর্ণ আস্থা রাখে আর এটিই হলো সেই স্তর যখন হযরত ইব্রাহীমের সাথে একজন ব্যক্তির বন্ধন সঠিক হয় (অর্থাৎ এই স্তরে পৌঁছলে বলা যায় যে, এই বান্দা সুন্নাতে ইব্রাহীমকে অনুসরণকারী) তখন আল্লাহ পাক বান্দাকে অসংখ্য সাহায্য করে এবং পরকালে তাকে অসংখ্য নেয়ামত দ্বারা ধন্য করবেন (আল ফাতহুর রাব্বানি ওয়াল ফয়যুর রহমানী, ১৪ পৃষ্ঠা)

    প্রিয় ইসলামী বোনেরা! এটাই হলো কুরবানীর বাস্তব শিক্ষা যে, আমরা যেন আল্লাহ পাকে পূর্ণ আনুগত্য করি, কী ? কেন? কিভাবে? সেদিকে না তাকাই, বিবেকের ঘোড়া না দৌঁড়াই বরং আল্লাহ তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আদেশ এলে চোখ বন্ধ করে তা অনুসরণ করি প্রবৃত্তির কামনা-বাসনা থেকে বিরত থাকি, নফসে আম্মারার অনিষ্ঠতা থেকে বেঁচে থাকি, নিজেকে সংশোধন করি, এমনকি একপর্যায়ে নফসে মুতমায়িন্না অর্জনে সফল হয়ে যাবো

নফসের কু- প্রবৃত্তি পরিহার করুন!

    পবিত্র হাদিসে রয়েছে: لَا یُؤْمِنُ اَحَدُکُمْ حَتّیٰ یَکُونَ  ہَوَاہُ تَبِعًا لِمَا جِئْتُ بِہٖ অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত (পরিপূর্ণ) ঈমানদার হতে