Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
পাকের নিকট অধিক প্রিয় এবং এর সওয়াব ৭০০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী বোনেরা! এই ১০টি দিন যেন নেক আমলের বসন্তকাল। আমাদের উচিত এই দিনগুলোর সদ্ব্যবহার করা, অধিক পরিমাণে নেক আমল করা, নামায পড়া, নফল ইবাদত করা, তিলাওয়াত করা, যিকির করা বরং এর চেয়ে উত্তম হলো, রাত জেগে ইবাদত করা কারণ রাতের ইবাদত প্রিয়। হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর একটি বরকতময় রীতি ছিল যখন যিলহজ্বের প্রথম দশকের আগমন ঘটতো তখন তিনি ইবাদত করার আপ্রাণ চেষ্টা করতেন এবং বলতেন: لَا تُطْفِئُوا سُرُجَكُمْ لَيَالِي الْعَشْرِ অর্থাৎ যিলহজ্বের প্রথম দশকে রাতে ঘরের প্রদীপ নিভিয়ো না। (হিলয়াতুল আউলিয়া, ৪/৩১১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৫৬৭১)
সাধারণত রাতে ঘুমানোর সময় প্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া হয়, তাই হযরত সাঈদ বিন জুবায়ের رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন, যিলহজ্বের প্রথম দশকে বাতি নিভিয়ো না, অর্থাৎ এই রাতে ঘুমিয়ে পড়ো না, বরং রাত জেগে অধিক পরিমাণে ইবাদত করো।
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নফল রোযা রাখতেন:
উম্মুল মু'মিনীন হযরত হাফসা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন, রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যিলহজ্বের প্রথম দশকে নিয়মিত নফল রোযা রাখতেন।
(সহীহ ইবনে হিব্বান, কিতাবুল হজ্ব: ১৭০৩ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৬৪২২)
মনে রাখবেন! যিলহজ্বের প্রথম দশকে রোজা রাখার অর্থ হলো: যিলহজ্বের প্রথম ৯ দিনের রোযাই, কারণ ১০ই যিলহজ্বের দিনে (অর্থাৎ ঈদুল আযহার দিন) রোযা রাখা জায়েয নেই।