Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

পিতা ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এর সুন্নাত সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان পূনরায় জিজ্ঞেসা করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এতে আমাদের জন্য কী প্রতিদান রয়েছে? তিনি ইরশাদ করলেন: بِکُلِّ شَعْرَۃٍ حَسَنَۃ অর্থাৎ কুরবানীর প্রতিটি চুলের বিনিময়ে তোমাদের জন্য একটি করে নেকী রয়েছে

(ইবনে মাজাহ, কিতাবুল আযহা, ৫১০ পৃষ্ঠা হাদীস: ৩১২৭

ঈদুল আযহার দিন সর্বোত্তম আমল

    হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন: রাসূলগণের সর্দার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ঈদুল আযহার (অর্থাৎ যিলহজ্বের ১০ তারিখ) ব্যাপারে বলেন: مَا عَمِلَ آدَمِيٌّ  فِی هٰذَا الْیَوْمِ اَفْضَلُ مِنْ دَمٍ یُہْرَاقُ অর্থাৎ আজকের দিনে মানুষের কোনো কাজ রক্তপাতের (অর্থাৎ কুরবানী করার) চেয়ে অধিক ফযীলত পূর্ণ নয় (মাজমাউয-যাওয়াইদ / পৃষ্ঠা, হাদীস:৫৯৩৯)

    অপর হাদীসে পাকে রয়েছে, কুরবানীর দিন (অর্থাৎ ঈদুল আযহার দশম দিন) আল্লাহ পাকে নিকট একজন মানুষের সর্বাধিক পছন্দনীয় কাজ হল রক্তপাত করা অর্থাৎ কুরবানী করা নিশ্চয় কুরবানীর পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, তার চুল এবং তার খুরসহ নিয়ে উঠবে, নিশ্চয় কুরবানীর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ পাকে নিকট তার কুরবানী কবুল হয়ে যায় সুতরাং আনন্দচিত্তে কুরবানী করো

(তিরমিযী, কিতাবুল আযহা, ৩৮৩ পৃষ্ঠা হাদীস: ১৪৯৩)

কুরবানীর পরিবর্তে মাংস সদকা করা যথেষ্ট নয়:

    হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, এ থেকে জানা গেলো, কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য রক্তপাত করা, মাংস খাওয়া হোক বা না হোক, অতএব কেউ যদি কুরবানীর মূল্য পরিশোধ করে দেয় বা ততোধিক দুই বা তিনগুণ মাংস সদকা করে দেয় তাহলে কুরবানী