Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
গোশতের মাধ্যমে শক্তি অর্জন করার অনুমতি দিয়েছেন। তোমাদের প্রভু কেবল একজনই, সুতরাং পশু জবাই করার সময় তাঁর নাম নাও! তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো! এবং তাঁরই সামনে মাথা নত করো!
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! জানা গেলো, আল্লাহ পাক আমাদেরকে পশু সংক্রান্ত যে পুরস্কার দিয়েছেন, পশু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে দিয়েছেন, তাদের মাংস আমাদের জন্য হালাল করেছেন, কুরবানী এসব পুরস্কারের কৃতজ্ঞতা ও এবং একই সঙ্গে এতে একত্ববাদের বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে এ বিষয়টি প্রকাশ করে যে, আল্লাহ এক, আমাদের পুরস্কৃতকারীও একজন, সকল সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তা একজনই এবং আমরা একমাত্র সেই একক খোদার ইবাদত করি, তিনি ব্যতীত আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই।
জানা গেলো, কুরবানী কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি একত্ববাদ আকীদারও বহিঃপ্রকাশ।
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! মনে একটি প্রশ্ন জাগে, তা হলো কুরবানী যদি নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা স্বরূপ হয় তাহলে এই কৃতজ্ঞতা অন্যভাবেও জ্ঞাপন করা যেতে পারে যেমন, নামায, রোযা, দান-খয়রাত করেও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা যেতে পারে অবশেষে এই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য পশু কুরবানী করাটাই কেন আবশ্যক? উলামায়ে কেরামগণ এ প্রশ্নের অনেক উত্তর দিয়েছেন।
আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এ বিষয়ে অত্যন্ত ঈমান উদ্দীপক মাদানী ফুল বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, পশুরা