Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
যাতে অবহেলা দূর হবে এবং মানুষ অধিকহারে আল্লাহ পাকের জিকিরকারীতে পরিণত হবে।
(লতায়িফুল মা'আরীফ ৩৯০ পৃষ্ঠা)
আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত মাদানী ফুলটি উল্লেখ করার পর বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের আনুগত্য করে, অধিকহারে আল্লাহ পাকের জিকির করে, সে যেন এই পশুগুলোকে জবাই করে, তারপর মাংস খায়, তারপর সে সেই মাংস থেকে অর্জনকৃত শক্তিকে গুনাহের কাজে ব্যয় করে, তাহলে সে যেন বিষয়টিকে উল্টা করে দিলো, কৃতজ্ঞতার পরিবর্তে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো এমন নির্বোধ লোক থেকে তো চতুষ্পদ জন্তু বহু গুণে উত্তম। (লতায়িফুল মা'আরীফ ৩৯০ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! শিক্ষনীয় বিষয়, কুরবানীর দিন জবাইকৃত এই পশুর মাংস ধনী-গরীব সবাই খায়, উচিত হলো এই মাংস খেয়ে অর্জিত শক্তি দিয়ে * আমাদের মাঝে আল্লাহ পাকের জিকির করার মানসিকতা সৃষ্টি করা * নেকীর প্রতি অন্তর ধাবিত করা * এর দ্বারা অর্জিত শক্তি নামায আদায়ের জন্য ব্যয় করা * কুরআন তিলাওয়াতে ব্যয় করা * এই শক্তি নেকীর দাওয়াত প্রচারে ব্যয় করা এবং এই শক্তি সৎ কাজে ব্যয় করা। কিন্তু হায়! আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক আছে যারা দামী দামী পশু কুরবানী করে, মাংস খায় কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করে না, কুরবানীর দিনেও নামায কাযা করে, সিনেমা, নাটক ও বিভিন্ন গুনাহে পূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদের দিন অতিবাহিত করে এবং ঈদের দিনটিকে নিজের জন্য শাস্তির হিসাবে বানিয়ে নেয়।
এই ধরনের নির্বোধ লোকদের ভয় করা উচিত, আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এমন নির্বোধ থেকে তো সেই প্রাণীয় উত্তম যারা যতক্ষণ জীবিত থাকে আল্লাহ পাকের