Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza

    হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام বছর বয়সে বলেছিলেন:

 

قَالَ اَسۡلَمۡتُ لِرَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ (۱۳۱)

(পারা , সূরা বাকারা, আয়াত ১৩১)

কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: তখন আরয করলো, আমি গর্দান অবনত করেছি তাঁরই জন্যই, যিনি সমগ্র বিশ্বের রব

        শুনলেন তো আপনারা! হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام বছর বয়সে আল্লাহ পাকে দরবারে এটি আরজ করলেন, তারপর সারা জীবন এর ওপর অটল রইলেন তাঁর উপর বিপদ-আপদ এসেছে, পেরেশানি এসেছে, দুঃখ এসেছে, তিনি কষ্টেও জর্জরিত হয়েছেন কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও তাঁর পা নড়চড় হয়নি, তিনি সর্বদা অবিচল ছিলেন তাঁকে নেকীর দাওয়াত দেয়ার আদেশ হলো তখন তিনি একাই দ্বীনের বাণী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে গেলেন, নমরূদ ছিলো সে সময়ের জালিম বাদশাহ, তার রাজ্যে থেকে, নির্ভয়ে একমাত্র মহান আল্লাহ পাকে উপর ভরসা করে তিনি সত্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেছেন

    নমরূদ! হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام কে আল্লাহ পানাহ! আগুনে ফেলার দুঃসাহস করলো, হযরত ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এতেও সন্তুষ্ট রইলেন, আল্লাহ পাকে আনুগত্য করলেন, যখন তাঁকে আগুনে নিক্ষেপ করা হচ্ছিলো, তখন হযরত জিব্রাইল আমীন عَلَیْہِ السَّلَام উপস্থিত হয়ে বললেন: হে ইব্রাহীম عَلَیْہِ السَّلَام কোন প্রয়োজন হলে বলুন, তিনি বললেন: প্রয়োজন তো আছে, কিন্তু তোমার তোমার কাছে নয়, তিনি বললেন: তাহলে যার কাছে প্রয়োজন তাঁকেই বলুন! তিনি বললেন: তিনি দেখছেন, বলার প্রয়োজন নেই

    سُبْحٰنَ الله! এটি ছিল বিশ্বাস, এটি ছিলো খোদার প্রতি ভরসা, অতঃপর আল্লাহ পাক তাঁর বিশ্বাস এবং আনুগত্যের প্রতিদানও