Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
এতে সেই লোকদের জন্য শিক্ষা রয়েছে যারা কুরবানীর সময় রং তামাশায় মেতে উঠে, পশুর প্রাণ বের হতে দেখে, তার ছটফট করার আওয়াজ শুনে উল্লাসে মেতে উঠে এবং আল্লাহর পানাহ! কিছু নির্বোধ তো হাত তালিও দেয়। হায়! এটা তামাশা দেখার সময় নয় বরং নিজের গুনাহের প্রতি অনুতপ্ত হওয়ার এবং এই প্রাণীর প্রতি অনুগ্রহ করার সময়।
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! আমাদের ভয় করা উচিত, শিক্ষা নেওয়া উচিত, এটা তো সেই প্রাণী যে তার প্রভুর নামে স্বীয় জীবন উৎসর্গ করছে, যে তার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গুনাহের প্রায়শ্চিত্ত করছে, আমাদের উচিত তার দয়া প্রতি সদয় হওয়া এবং তাকে বেশি পরিমাণে সম্মান করা। আল্লাহ পাক আমাদের হেদায়েত দান করুন এবং আল্লাহ পাকের সৃষ্টির প্রতি সদয় হওয়ার সামর্থ্য দান করুন।
اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖیْن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
কুরবানী একটি উদ্দেশ্যপূর্ণ ফরয
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! এ বিষয়টি মনে রাখবেন যে, কুরবানী কোন উৎসব বা প্রথা নয়, বরং একটি উদ্দেশ্যপূর্ণ ফরয। * কুরবানীর মাঝে আমাদের শেখার জন্য অনেক কিছু বিদ্যমান আছে। * কুরবানী আমাদের বাঁচার উদ্দেশ্য শেখায়। * কুরবানীতে আত্মত্যাগের শিক্ষা রয়েছে। * কুরবানী আমাদের সহানুভূতি শেখায় এবং * সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কুরবানী আমাদের দাসত্বের আদব শেখায়। আসুন এই প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত শুনি এবং এটি বোঝার চেষ্টা করি: আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন: