Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ فَاِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ فَلَہٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ (ۙ۳۴)
(পারা ১৭, সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৪)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি একটা কুরবানী নির্ধারিত করেছি যেন তারা আল্লাহর নামে নেয় তার প্রদত্ত বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ পশুগুলোর উপর, অতএব তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্যই, সুতরাং তারই সম্মুখে আত্মসমর্পণ করো, এবং হে মাহবুব! সুসংবাদ শুনিয়ে দিন সেই বিনীত লোকদেরকে।
তাফসীরে সিরাতুল জিনানে উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় রয়েছে: অর্থাৎ পূর্ববর্তী ঈমানদার উম্মতদের মধ্যে প্রত্যেক উম্মতের জন্য মহান আল্লাহ পাক একটি কুরবানী নির্ধারণ করেছেন যাতে তারা পশু জবাই করার সময় তাদের উপর আল্লাহ পাকের নাম উচ্চারণ করে।
(তাফসীরে সিরাতুল জিনান, পারা: ১৭ সূরা হজ্ব, আয়াত ৩৪, ৪৪৩ পৃষ্ঠা)
(১) কুরবানী হলো নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ও একত্ববাদ আকীদার বাস্তব প্রকাশ
জাহেলী যুগে মানুষ তাদের মিথ্যা উপাস্যদের উদ্দেশ্যে কুরবানী করতো এবং জবাই করার সময়ও তাদের নাম নিতো, মুশরিকদের এই শিরককে খন্ডন করতে গিয়ে মহান আল্লাহ পাক বলেন: :
لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰہِ عَلٰی مَا رَزَقَہُمۡ مِّنۡۢ بَہِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ فَاِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ فَلَہٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ
(পারা ১৭, সূরা হজ্জ, আয়াত ৩৪)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যেন তারা আল্লাহর নামে নেয় তার প্রদত্ত বাকশক্তিহীন চতুষ্পদ পশুগুলোর উপর, অতএব তোমাদের উপাস্য একমাত্র উপাস্যই, সুতরাং তারই সম্মুখে আত্মসমর্পণ করো।
অর্থাৎ আল্লাহ পাকই তোমাদের রিজিকদাতা, আল্লাহ পাকই এই প্রাণীগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, আল্লাহ পাকই এই শক্তিশালী প্রাণীগুলোকে তোমাদের নিয়ন্ত্রণাধীন করেছেন এবং মহান আল্লাহ পাকই তোমাদেরকে এগুলো জবাই করার এবং