Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
অধিক হারে আল্লাহ পাকের জিকির করে, আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে বলেন:
وَ اِنۡ مِّنۡ شَیۡءٍ اِلَّا یُسَبِّحُ بِحَمۡدِہٖ
(পারা ১৫, বনী ইসরাঈল, আয়াত ৪৪)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর এমন কিছুই নেই যা তাঁর প্রশংসা করে তাঁর পবিত্রতা বর্ণনা করে না।
প্রিয় নবী রাসূলে আরবী হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণীর সারমর্ম হলো: কতো প্রাণী এমন আছে যারা মানুষের চেয়ে ভালো এবং তাদের চেয়েও বেশি আল্লাহ পাকের জিকির করে।
(জামে' সাগীর, ৬৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৯৫৩)
এ থেকে জানা গেলো, সমষ্টিগতভাবে পশুপাখি মানুষের তুলনায় অধিক হারে আল্লাহ পাকের জিকির করে, হ্যাঁ মানুষের মধ্যেও এমন রয়েছে যারা অধিক হারে আল্লাহ পাকের জিকির করে কিন্তু মানুষের একটি বিশাল দল রয়েছে যারা অলসতার শিকার হয়ে থাকে অবশ্যই পশুপাখি সাধারণত আল্লাহ পাকের জিকিরকারী হয়ে থাকে। সুতরাং আল্লাহ পাক আমাদেরকে পশু কুরবানী করার নির্দেশ দিয়েছেন এতে রহস্য হলো, মাংস খেলে মেধা বিকাশ ঘটে, দেহের শক্তি ও বল বৃদ্ধি পায় আর মাংসের বৈশিষ্ট্য হলো, এটি মানুষের প্রকৃতিকে প্রভাবিত করে।
তাই আমাদের উপর হালাল পশু কুরবানী দেয়া আবশ্যক করা হয়েছে, যাতে আমরা সেই জিকিরকারী মাংস ভক্ষণ করি যা দ্বারা আমাদের মেধাবিকাশ ঘটবে, যখন জিকিরকারী পশুর মাংসের মাধ্যমে মেধাবিকাশ ঘটবে তখন সেই মেধা নেকীর দিকে অধিক অনুরাগী হবে এতে কুমন্ত্রণা অল্পহারে আসবে, এমন মেধা ইতিবাচক চিন্তাধারার অধিকারী হয়ে যাবে।
এভাবে আল্লাহ পাকের জিকিরকারী পশুর মাংস আমাদের দেহের অংশ হয়ে যাবে, আমাদের স্বভাবের অংশ হয়ে যাবে,