Book Name:Surah Fatiha
থেকে জানা গেলো, নিশ্চয়ই নামায উত্তম ইবাদত, তবে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে উপস্থিত হওয়া তার থেকেও আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তম। উলামায়ে কেরাম বলেন, নামায চলাকালীন যদি প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আহ্বান করেন তখন নামাযী ব্যক্তি নামায স্থগিত রেখে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم র নিকট উপস্থিত হয়ে যাবে, এক্ষেত্রে তার নামায ভঙ্গ হবে না বরং যতক্ষণ পর্যন্ত সে আল্লাহর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে উপস্থিত থাকবে সেই সময়টিও নামাযের অংশ হিসেবেই গণ্য হবে, অতঃপর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট থেকে অবসর হয়ে ফিরে এসে যেখানে নামায ছেড়ে ছিলো সেখান থেকেই নামায শুরু করবে। জানা গেলো, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم খেদমতের হুকুম স্বাভাবিক অবস্থা থেকে ভিন্ন। দেখুন! নামাযের সময় কারো সাথে কথা বললে, কাউকে সম্বোধন করে সালাম দিলে, এতে নামায ভেঙ্গে যায়, কিন্তু খেয়াল করে দেখুন! যখন আমরা আত্তাহিয়্যাত পাঠ করি, তখন নামাযরত অবস্থায় প্রিয় নবী, হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে সম্বোধন করে তার খেদমতে সালাম পেশ করি, اَلسَّلَامُ عَلَیْکَ اَیُّہَا النَّبِیُّ এই সালাম দ্বারা নামায ভঙ্গ হয় না বরং নামায পরিপূর্ণ হয়। (মিরাতুল মানাজিহ, ৩/২২৪) কেননা নামাযের মধ্যে আত্তাহিয়াতু পড়া ওয়াজিব।
সায়্যিদী আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কতই না সুন্দর বলেছেন:
সাবিত হুয়া কে জুমলা ফরায়েজ ফুরূ হে,
আসলুল উসুল বন্দেগী উস তাজওয়ার কী হে।
(হাদায়িকে বখশিশ ২০৫ পৃষ্ঠা)
সাহাবায়ে কেরাম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ’র সৌভাগ্যকে সালাম!
হে আশিকানে রাসূল! এখান থেকে সাহাবীগণের শ্রেষ্ঠত্ব অনুমান করুন! নামাযরত অবস্থায় আহ্বান করলে তখন হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ডাকে সাড়া দেয়া ওয়াজিব, এটি শরীয়তের