Book Name:Surah Fatiha
হলো উম্মুল কিতাব (অর্থাৎ কুরআনের মূল), এবং এতে রয়েছে প্রতিটি রোগের আরোগ্য। (তাফসীরে দুররে মনসুর, ১ম পারা, সূরা ফাতিহা, ১/১৫ পৃষ্ঠা)
বিচ্ছুর দংশনে আহত ব্যক্তিকে ফুঁক
বুখারী ও মুসলিমে একটি বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে, যার সারমর্ম হলো, একবার ৩০ জন সাহাবী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সফরে ছিলেন, পথিমধ্যে এক স্থানে এক ব্যক্তি এসে সাহাবীগণকে رَضِیَ اللهُ عَنْہُ জিজ্ঞেস করলো, আমাদের সর্দারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আপনারা কি কিছু করতে পারবেন? একজন সাহাবী বললেন: হ্যাঁ! আমি সেই ব্যক্তিকে ফুঁক দিবো। সুতরাং সেই সাহাবী ঐ ব্যক্তির সাথে চলে গেলেন এবং সূরা ফাতিহা পাঠ করে রোগীর উপর ফুঁক দিলেন, যার বরকতে রোগী আরোগ্য লাভ করলো।
(বুখারী, ৫৮৫ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২২৭৬)
হযরত খারিজা বিন সালাত رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তার সম্মানিত চাচার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি রাসুলে আকরাম নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র খেদমতে উপস্থিত হলাম, সেখান থেকে ফিরে আসার সময় আমি এক সম্প্রদায়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। সেখানে একজন পাগল ছিলো, যাকে তারা লোহা দিয়ে বেঁধে রেখেছিলো, তারা আমাকে বললো: তুমি কি তাকে সুস্থ করতে পারবে? সুতরাং আমি সূরা ফাতিহা ৩ দিন সকাল-সন্ধ্যা পাঠ করে তার উপর ফুঁক দিলাম, ফলে সে পাগল ব্যক্তি পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলো। (মু'জামুল কবীর, ৭/৮৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৩৯৪৪)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উল্লেখিত দুটি ঘটনা থেকে জানা গেলো, পবিত্র কুরআন দিয়ে চিকিৎসা করা, পবিত্র কুরআনের আয়াত তিলাওয়াত করে ফুঁক দেয়া, সেগুলো লিখে তাবিজ