Book Name:Surah Fatiha
বানানো ইত্যাদি সম্পূর্ণ জায়িয। সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان ও ফুঁক দিতেন এবং অপরকেও শিক্ষা দিতেন।
হযরত আয়েশা সিদ্দীকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বলেন: প্রিয় নবী, রাসুলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে বদনজর (নিরাময়ের জন্য) ফুঁক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী, ১৪৫১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৫৭৩৮)
একটি হাদীসে উল্লেখ রয়েছে, যখন আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়তেন, তখন তিনি পবিত্র
কুরআনের শেষ দুটি সূরা (সূরা ফালাক ও সূরা নাস) পড়ে ফুঁক দিতেন।
(মুসলিম, ৮৬৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২১৯২)
একবার প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام কতিপয় বাক্য পাঠ করে তাঁর উপর ফুঁক দেন।
(মুসলিম, ৮৬৪ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২১৮৫)
سُبْحٰنَ الله! জানা গেলো, কুরআনের আয়াত ও পবিত্র বাক্যসমূহ পাঠ করে ফুঁক দেয়া আমাদের প্রিয় নবী পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ও সুন্নাত, সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان ’রও সুন্নাত এবং ফেরেশতাদের সর্দার হযরত জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام ‘র সুন্নাত।
হ্যাঁ! কতিপয় হাদীসে তাবিজ পরিধান করা নিষিদ্ধ বলা হয়েছে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সেসব তাবিজ যাতে নাজায়িয শব্দ থাকে যা কিনা জাহিলিয়াতের যুগে করা হতো। তাছাড়া কুরআনের আয়াত, পবিত্র শব্দ, আল্লাহর বরকতময় নাম এবং বিভিন্ন দোয়ার মাধ্যমে ফুঁক দেয়া অথবা কাগজে লিখে বা লিখিয়ে গলায় পরা সম্পূর্ণ জায়িয।
(বাহারে শরীয়ত, ৩/ ৪১৯-৪২০ পৃষ্ঠা, অধ্যায়: ১৬)