Hajj Ke Fazail

Book Name:Hajj Ke Fazail

হয় তাহলে যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলুন, অন্যতায় প্রয়োজন থেকে বেশি সামনে অগ্রসর হবেন না তারপরও অন্তর প্রিয় নবীরই দিকে রাখুন(বাহারে শরীয়াত, /১২২৩) 

    আরো বলেন: (যে যখন রওযায়ে অনুওয়ারের নিকট পৌঁছবে তো) এখন আদব আগ্রহে ডুবে মাথা ঝুকিয়ে নিন, চক্ষু অবনত রাখুন, অশ্রু প্রবাহিত করুন, কাঁপতে থাকুন, গুনাহের অনুশোচনা করে, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অনুগ্রহ দয়ার আশা রেখে, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উভয় কদম শরীফের দিকে সোনালী জালের সামনাসামনি মুখ শরীফের দিকে উপস্থিত হয়ে হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আপন রওযায়ে আনওয়ারে সামনাসামনি মুখ করে যিয়ারত করুন, কদম মোবারকের দিকে আপনি যিয়ারত করলে তখন হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দৃষ্টি সারাসরি আপনার উপর পড়বে এবং এই কথা মনে রাখবেন অত্যন্ত আগ্রহ হওয়ার সাথে সাথে আপনার জন্য উভয় জগতের সৌভাগ্যের কারণও রয়েছে

(বাহারে শরীয়াত, /১২২৪)

    কিবলাকে পিঠ করে কম পক্ষে চার হাত (দুগজ) দূরে নামাযের ন্যায় হাত বেঁধে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم চেহারা মোবারকের দিকে মুখ করে দাড়াবেন ফতোওয়ায়ে আলমগিরীইত্যাদিতে এটাই আদব রয়েছে: یَقِفُ کَمَا یَقِفُ فِی الصَّلٰوۃ অর্থাৎ হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দরবারে এভাবে দাড়ান যেভাবে নামাযে দন্ডয়মান হয়। মনে রাখবেন! হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজ রওযা শরীফে মূল প্রকাশ্য হায়াতের মতো জীবিত এবং আপনাকেও দেখছেন বরং আপনার অন্তরের যে ধারণা আসে, সে সম্পর্কে অবগত রয়েছে। সাবধান!