Book Name:Ummat e Muslima Akhri Ummat Kyon?
তখন এই পদমর্যাদা, যা উম্মতে মুসলিমাকে দেওয়া হয়েছে পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর সাক্ষ্য দেওয়া, আমরা এই পদের উপর কীভাবে পুরোপুরি উত্তীর্ণ হতে পারবো?
মনে রাখবেন! ফাসিক (অর্থাৎ প্রকাশ্যে গুনাহকারী) ব্যক্তির সাক্ষ্য কবুল করা হয় না। নামায ত্যাগ করা ফিসক, রোযা না রাখা ফিসক, মাপে কম দেওয়া, পিতা-মাতাকে কষ্ট দেওয়া, অন্যদের কষ্ট দেওয়া, মিথ্যা বলা, সুদী লেনদেন করা ইত্যাদি সবই ফিসক, গুনাহের কাজ, এবং মুফাসসিরীনে কেরাম লিখেছেন যে, কিয়ামতের দিন উম্মতে মুসলিমা যে সাক্ষ্য দেবে, তার দ্বারা কেবল এই উম্মতের মুত্তাকী ও পরহেযগার লোকদের বোঝানো হয়েছে, (তাফসীরে নঈমী, পারা: ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ১৪৩ নং আয়াতের পাদটীকা, ২/২১) যারা নামাযও পড়ে, রোযাও রাখে, গুনাহ থেকেও বেঁচে থাকে, তাকওয়া অবলম্বন করে। কেবল তারাই এই সাক্ষ্য দেওয়ার যোগ্য হবে। যারা গুনাহগার, ফাসিক ও ফাজির, তারা নিজেরাই গুনাহ করে নিজেদেরকে এই পদের জন্য অযোগ্য করে নিয়েছে।
হে আশিকানে রাসূল! চিন্তা করার বিষয়! কত মহান এক পদমর্যাদা, আর আমরা কেবল দুনিয়ার ভালোবাসার কারণে, মালের পেছনে, জৈবিক চাহিদার কারণে নিজেদেরকে এই পদের জন্য অযোগ্য করে দিচ্ছি। এটা কতো বড় ক্ষতির বিষয়...? তাই আমাদের উচিত নিজেদের চরিত্রকে সংশোধন করা, নিজেদের আচরণ, আখলাক, আমল এবং চালচলনকে ঠিক করা, যাতে এই মহান পদমর্যাদা যা এই উম্মতকে দেওয়া হয়েছে, আমরা সেই পদের যোগ্য হতে পারি।