Book Name:Ummat e Muslima Akhri Ummat Kyon?
আর কোনো নতুন নবী আসবেন না এবং আমাদের পরেও আর কোনো উম্মত নেই। আমরাই শেষ উম্মত, এরপর শুধু কিয়ামতই আসবে। সর্বশেষ এতে কী হিকমত রয়েছে? এই উম্মতকে শেষ উম্মত কেন বানানো হলো?
আসুন! কয়েকটি হিকমত শুনি, এতে আমরা আমাদের গুরুত্ব (value) জানতে পারব, নিজেদের কদর ও মর্যাদা বুঝতে পারব, নিজেদের পদমর্যাদা ও দায়িত্ব সম্পর্কে জানতে পারব।
(১): প্রথম হিকমত: উম্মতে মুসলিমাকে সাক্ষী বানানো হয়েছে
আল্লাহ পাক কুরআন করীমে ইরশাদ করেন:
وَ کَذٰلِکَ جَعَلۡنٰکُمۡ اُمَّۃً وَّسَطًا لِّتَکُوۡنُوۡا شُہَدَآءَ عَلَی النَّاسِ
(পারা ২, বাকারা, আয়াত ১৪৩) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আর কথা হলো এরূপই যে, আমি তোমাদেরকে সব উম্মতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির উপর সাক্ষী হও।
এটা উম্মতে মুসলিমার শেষ উম্মত হওয়ার একটি হিকমত। যদি এই উম্মতকে প্রথম উম্মত বানানো হতো, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এই উম্মত তার পরে আসা উম্মতদের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতে পারতো না। তাই এই উম্মতকে শেষ উম্মত বানানো হয়েছে, যাতে এই উম্মত পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর সাক্ষী হতে পারে।
কিয়ামতের দিন উম্মতে মুসলিমার সাক্ষ্য
বুখারী শরীফের হাদীসে পাকে আছে, আল্লাহ পাকের শেষ নবী, রাসূল হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: কিয়ামতের দিন হযরত নূহ عَلَیْہِ السَّلَام কে ডাকা হবে। তিনি বলবেন: !لَبَّیْکَ یَارَبِّ (হে আল্লাহ পাক! আমি হাজির)। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হবে: আপনি কি আমার বিধানাবলী