Book Name:Farooq e Azam Ki Aajizi o Sadgi
এটাই ছিলো যে, তাঁর মুখ দিয়ে সত্য ও ন্যায়ই বের হতো, তিনি সত্য ও ন্যায়ের প্রতিই নির্দেশনা দিতেন এবং ন্যায় সহকারেই এই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, এরচেয়ে বড় তাঁর ন্যায়ের আর কি দলীল হতে পারে যে, অনেকবারই এমন হয়েছে যে, তিনি যেই ব্যাপারে কিছু বলেছেন তখন কুরআনে পাকের আয়াত সেই বিষয়েরই অবতীর্ণ হয়েছিলো, যা তিনি বলেছেন। যেমনটি
হযরত মুজাহিদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: کَانَ عُمَرُ یَرَی الرَّاْیَ فَیَنْزِلُ بِہِ الْقُرْآنُ অর্থাৎ আমীরুল মুমিনিন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যখন কোন মত (Opinion) প্রকাশ করতেন তখন সেই অনুযায়ী কুরআনে পাকের আয়াত অবতীর্ণ হয়ে যেতো। (তারিখুল খোলাফা, ৯৬ পৃষ্ঠা। আস সাওয়ায়িকিল মাহরাকা, ৯৯ পৃষ্ঠা)
আমীরুল মুমিনিন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর শাহজাদা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন: যখন কোন ব্যাপারে বিভিন্ন সাহাবায়ে কিরামগণের عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان কাছ থেকে মতামত নেয়া হতো এবং এতে আমার সম্মানিত পিতাও নিজের মত প্রদান করতেন তখন কুরআনে করীমের আয়াত তাঁর মতানুযায়ী অবতীর্ণ হতো।
(ফাযায়িলে সাহাবা, ১/৪১৫, হাদীস ৪৮৮। তারিখুল খোলাফা, ৯৬ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! যখন কোন মানুষের মাঝে অসংখ্য গুণাবলী বিদ্যমান থাকে, যা তাঁর ব্যক্তিত্বকে পরিপূর্ণভাবে চিত্রায়িত করে এবং মানুষের মাঝে তাঁর চর্চাও হয় তবে অনেক সময় এরূপ ব্যক্তি নিজের নফসের প্রতারনায় এসে অহঙ্কার ও স্বার্থপরতার মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়, কিন্তু আমীরুল মুমিনিন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ অসংখ্য গুণাবলীর অধিকারী হওয়ার পরও এই বাতেনী রোগ থেকে পবিত্র এবং