Book Name:Farooq e Azam Ki Aajizi o Sadgi
গ্রহণ করলো। আর আমীরুল মুমিনীন رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তার সাথে অত্যন্ত স্নেহময় আচরণ করে তার অপরাধ ক্ষমা করে দিলেন। (ইযালাতুল খফা, চতুর্থ অধ্যায়, ৪/১০৯)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী বোনেরা! ভাবুন তো! সাহাবীয়ে রাসূল হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আমীরুল মুমিনিন ছিলেন, সাড়ে বাইশ লাখ বর্গমাইলের উপর যাঁর শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিলো, কয়েক হাজার সৈন্যের কমান্ডার ও লাখো কোটি মানুষ তাঁর অধিনে ছিলো। তিনি যদি চাইতেন তবে আলিশান অট্টালিকা বানাতে পারতেন আর এতে সব ধরনের সুযোগ সুবিধার (Facilities) ব্যবস্থা করতে পারতেন, সারা পৃথিবীর আরাম ও আয়েশ জমা করতে পারতেন, মন খুশি করার বাগান বানাতে পারতেন, নির্মাণ শৈলির অতুলনীয় উদাহরন বানাতে পারতেন, সুন্দর পাখি ও আকর্ষনিয় প্রাণী জমা করাতে পারতেন, পরিছন্ন পানির আলিশান হাউয বানাতে পারতেন, চাকর বাকরের লাইন লাগিয়ে দিতে পারতেন, সেই অট্টালিকায় আলিশান কক্ষ বানাতে পারতেন আর এতে রেশমি গালিচা ও পর্দা লাগাতে পারতেন, এতে খুবই আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থাও করতে পারতেন, মোটকথা! তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ চাইলে তবে খুবই আরাম আয়েশ ও সকল প্রকার আরাম আয়েশের জীবন অতিবাহিত করতে পারতেন, কিন্তু তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এরূপ করেননি বরং বিনয় ও নম্রতার বর্হিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সাধাসিধে জীবন কাটিয়েছেন এবং তাঁর বিনয়ের অবস্থা এমন ছিলো যে, মাটিতেই বিশ্রাম নিতেন। অপরদিকে আজ আমাদের অবস্থা এমন যে, কিছু না হয়েও বিনয়ের নামও নেই এবং যদি কিছু ধন