Farooq e Azam Ki Aajizi o Sadgi

Book Name:Farooq e Azam Ki Aajizi o Sadgi

শুকনো রুটি

    কখনো এমন হলো যে, (শুকনো) সিরিয়ান রুটি দাঁত দিয়ে ছিড়ে খেতেন, কেউ জিজ্ঞাসা করলো: হে আমীরুল মুমিনিন! যদি আপনি বলেন তবে আপনার জন্য নরম খাবার নিয়ে আসি? তখন তিনি বললেন: তোমার দৃষ্টিতে কি আরবে এমন কোন ব্যক্তি রয়েছে, যে উত্তম খাবার সংগ্রহের জন্য আমার চেয়েও বেশি ক্ষমতা রাখে(রিয়াযুন নাদারা, / ৩৬৫) (অর্থাৎ তিনি শাসক ছিলেন আর উত্তম খাবার সংগ্রহ করতে পারেন কিন্তু তবুও সাধাসিধে জীবন যাপন অবলম্বন করে শুকনো রুটি আহার করতেন)

সাধারণ খাবার

    কখনো এরূপ হলো; শুকনো মাংসের টুকরোকে পানিতে সিদ্ধ করে আনা হতো, কখনো এমন হতো যে, সামান্য পরিমাণে তাজা মাংস আনা হতো, যা তিনি আহার করতেন (তারিখে ইবনে আসাকির, ৪৪/২৯৮) কখনো এমনও হতো যে, প্রচন্ড ক্ষুধা অবস্থায় তিনি একটি খেজুর পেলেন তখন তিনি তা খেয়ে পানি পান করে নিলেন, অতঃপর নিজের পেটে হাত বুলিয়ে বলেন: ধ্বংস ব্যক্তির জন্য, যাকে তার পেট জাহান্নামে প্রবেশ করিয়েছে(মানাকিবে আমীরুল মুমিনিন ওমর বিন খাত্তাব, ১৩৫ পৃষ্ঠা) কখনো একটি দল এসে থামলো, তখন দেখলো কি, হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর জন্য প্রতিদিন খাবারের সময় একটি (শুকনো) রুটি চুর্ণ করে আনা হলো, যা তিনি কখনো ঘি দ্বারা কখনো যয়তুন দ্বারা আর কখনো দুধ দ্বারা খেয়ে নিতেন