Book Name:Ibadat Ke Faide
উপর মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে, চোখের উপর পর্দা পড়ে আছে এবং তাদের জন্য পরকালে রয়েছে মহা শাস্তি। (৩) মুনাফিক; এরা অত্যন্ত নিকৃষ্ট এবং সর্বনিকৃষ্ট কাফির, যারা অন্তরে কুফর গোপন রাখে এবং মুখে কালিমা পাঠ করে। এদের সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন যে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।
একথা অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও প্রতীয়মান যে, যেকোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি যখন মানুষের এই ৩টি প্রকার পড়বে, তখন সে চাইবে যে আমি যেন মুত্তাকী হয়ে যাই, যাতে আমি হিদায়াতের উপর অবিচল থাকতে পারি এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম হতে পারি। সুতরাং, এখন আয়াত নম্বর ২১-এ তাকওয়া অর্জনের পদ্ধতি বর্ণনা করা হচ্ছে।
আয়াতে কারীমার সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
يَا أَيُّهَا النَّاسُ
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: হে মানবজাতি!
এটি একটি সাধারণ সম্ভাষণ, কোনো একটি নির্দিষ্ট যুগ বা কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর মানুষ উদ্দেশ্য নয়, বরং প্রত্যেকেই যে মানুষ, হযরত আদম عَلَیْہِ السَّلَام এর সন্তান, সে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তেই বসবাস করুক না কেন, যেকোনো যুগেই হোক না কেন, মোটকথা প্রত্যেক মানুষের জন্য এই আদেশ যে,
اعْبُدُوا
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: ইবাদত কর!
মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এখানে ‘ইবাদত’ শব্দের ব্যাপক অর্থ গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ হে কাফিরদল! ইবাদত কর! অর্থাৎ ঈমান গ্রহণ কর! হে মুনাফিকগণ! ইবাদত কর! অর্থাৎ মুখলিস (নিষ্ঠাবান) হয়ে যাও! হে গুনাহগারেরা! ইবাদত কর! অর্থাৎ গুনাহ পরিত্যাগ করে সৎকর্মে নিয়োজিত হও! মোটকথা, সকল প্রকার মানুষকে তাদের অবস্থা অনুযায়ী আদেশ করা হয়েছে যে, ইবাদত কর! (তাফসীরে নাঈমী, পারা ১, খণ্ড; ১, পৃ: ২১৩) কার ইবাদত? বললেন:
رَبَّكُمُ