Book Name:Ibadat Ke Faide
শিক্ষা দিতেন * নেকীর দাওয়াতও দিতেন * দুঃখ-কষ্টে সমবেদনাও জানাতেন
* রোগীদের সেবাও করতেন * তাঁর খিদমতে মানুষ ফরিয়াদ নিয়ে আসত, তাদের ফরিয়াদও শুনতেন এবং আমাদের প্রিয় নবী, রসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর তো এই শান যে, পশুরাও তাঁরই নিকট দুঃখ-কষ্ট জানাত, তিনি صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাদেরকেও স্নেহ ও রহমত দ্বারা ধন্য করতেন।
এভাবে চিন্তা করতে থাকুন! কত ব্যস্ততা ছিল, এই সমস্ত ব্যস্ততার সত্ত্বেও প্রিয় আকা, নূরে খোদা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিয়মানুবর্তিতার সাথে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহ পাকের ইবাদত করতেন।
একইভাবে বুযুর্গানে দ্বীন, আল্লাহ পাকের নেক বান্দারাও অধিক পরিমাণে ইবাদত করতেন। * খাজা সিররী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৯৮ বছর দুনিয়াতে অবস্থান করেন, মৃত্যুশয্যার সময় ছাড়া কেউ আপনাকে কখনো শায়িত অবস্থায় দেখেনি, সর্বদা ইবাদত করতেন। * মুহাম্মদ জুরীরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এক বছর মক্কা মুকাররমায় ছিলেন, না ঘুমিয়েছেন, না পিঠ সোজা করেছেন, না পা ছড়িয়েছেন। ফজরের নামায পড়ে যিকরুল্লাহ শুরু করতেন, যোহর হয়ে যেত। যোহরের পর আবার যিকরে ইলাহীতে মশগুল হতেন, এমনকি আসর হয়ে যেত। আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিব থেকে ইশা পর্যন্ত, ইশা থেকে আবার ফজর পর্যন্ত বসে যিকরুল্লাহই করতে থাকতেন। * হযরত আবু বকর আইয়্যাশ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রতিদিন ৩০ হাজার বার সূরা ইখলাস পড়তেন, প্রতিদিন ৫০০ নফল পড়তেন, দিনে অনেকবার কুরআন খতম করতেন। * ইমাম আযম, ইমাম আবু হানীফা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৪০ বছর ইশার উযু দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছেন, প্রতি রাতে ২ রাকাতে কুরআন কারীম খতম করতেন। (জাওয়াহিরুল বয়ান, পৃ:৩২-৩৩)
জাগনা হ্যায় জাগ লে আফলাক কে সায়ে তলে:
হযরত রাবেয়া বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا দ্বিতীয় হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ ওলী ছিলেন। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا আল্লাহ পাক এবং তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি অত্যন্ত মুহাব্বাত পোষণকারী, খোদাভীতিতে ক্রন্দনরতা, ইবাদতগুজার, রাত জাগরণকারী