Book Name:Ibadat Ke Faide
আল্লাহ পাক আমাদেরকেও অধিক ইবাদতের তাওফীক দান করুন। হায়! যদি অন্তরে আল্লাহ পাকের মুহাব্বাত স্থান করে নিত এবং আমরা অধিক পরিমাণে ইবাদতকারী হয়ে যেতাম! আসুন! ইবাদতের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য অধিক ইবাদতের দ্বীনী ও দুনিয়াবী উপকারিতাসমূহ শুনি:
আ’লা হযরতের সম্মানিত পিতা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যে ইবাদত করে: * আল্লাহ পাক তাকে মুহাব্বাত করেন * সে মর্যাদা লাভ করে * তার কাজ সহজ হয় * সমস্যায় তার সাহায্য করা হয় * শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করা হয় * তার অন্তর থেকে ভয় দূর করা হয় * তাকে উচ্চ মনোবল দান করা হয় * তার অন্তর প্রশস্ত হয়ে যায়, সে সহজে ইলম শিখতে পারে * সৃষ্টির অন্তরে তার প্রতি মুহাব্বাত সৃষ্টি করা হয় * সে বরকত লাভ করে, এমনকি মানুষ তার কাপড় ও ঘর থেকেও বরকত লাভ করে এবং উপকৃত হয় * ইবাদতকারী মুস্তাজাবুদ দাওয়াত (যার দু’আ কবুল হয়) হয়ে যায় * ইবাদতের মাধ্যমে রূহের সজীবতা ও শক্তি বৃদ্ধি পায়, চিকিৎসকদের (Doctors) মতে স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ইবাদত অপেক্ষা উত্তম কিছু নেই, যে ব্যক্তি রিয়াযত (সাধনা) করে তার অন্তর প্রফুল্ল ও শরীর চাঙ্গা থাকে * ইবাদতকারী মৃত্যুর কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে * সে ঈমানের উপর অবিচলতা লাভ করবে * সে রহমতের ছায়ায় স্থান পাবে * ফেরেশতারা তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে এবং মুনকার-নাকীরের প্রশ্নের উত্তর শিখিয়ে দেবে * তার কবর আলোকিত ও প্রশস্ত করে দেওয়া হবে * কিয়ামতের দিন তাকে তাজ পরানো হবে * ইবাদতকারী হাশরের ময়দানে বোরাকে আরোহণ করে আসবে * তার হিসাব হবে না, হলেও সহজে নেওয়া হবে * সে হাউজে কাউসার থেকে পানি পান করার সৌভাগ্য লাভ করবে, যার পর আর কখনো পিপাসা লাগবে না * ইবাদতকারী পুলসিরাত সহজে অতিক্রম করবে * আল্লাহর সন্তুষ্টি দ্বারা সম্মানিত হবে * ইবাদতকারী কিয়ামতের দিন আরশে ইলাহীর ছায়ায় স্থান পাবে * কিয়ামতের দিন সে আল্লাহর দীদার লাভ করবে এবং এই নিয়ামত সকল নিয়ামতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। (আনওয়ারুল জামালে মোস্তফা, পৃ:৩৩৪)
মিরী যিন্দেগী বাস তেরী বন্দেগী মেঁ হি এ কাশ গুযরে সাদা ইয়া ইলাহী!