Book Name:Ibadat Ke Faide
থাকাই তাকওয়া। এক ব্যক্তি অন্যদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে, পেছনে সমালোচনা করে, অন্যদের সম্মানে আঘাত হানে, এসবই নেতিবাচক বিষয়, এসব না থাকাই তাকওয়া।
মোটকথা, যদি আমরা আমাদের সত্তায়, আমাদের চরিত্রে, আমাদের নৈতিকতায়, আমাদের আচরণে, আমাদের জীবনযাত্রায় উন্নতি ও ইতিবাচক বিষয় (Positivity) আনতে চাই, তাহলে তার পদ্ধতি হলো আল্লাহ পাকের ইবাদত করা! এর বরকতে চিন্তা ইতিবাচক হবে, চরিত্র ইতিবাচক হবে, নৈতিকতা ইতিবাচক হবে, আচরণ ইতিবাচক হবে, আমাদের পুরো জীবনের দিক-নির্দেশনা সঠিক হয়ে যাবে। যখন এটা হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ পাকের মেহেরবানীতে আমরা সরল পথেও থাকব এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকামও হয়ে যাব।
এটাই হলো ইবাদত করার একটি মৌলিক উপকারিতা...!! আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে ইখলাসের সাথে, সৎ নিয়তের সাথে অধিক পরিমাণে ইবাদত করার তাওফীক দান করুন।
اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
আয়াতে কারীমা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাসমূহ
আমাদের মধ্যে কিছু লোক শয়তানী কুমন্ত্রণায় পড়ে এই বলে ইবাদত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার চেষ্টা করে যে, জান্নাত ও জাহান্নামের সিদ্ধান্ত তো হয়েই গেছে, সুতরাং এখন ইবাদতের কী ফায়দা? যদি কিসমতে জান্নাত লেখা থাকে, তাহলে নামায না পড়লেও সেখানে পৌঁছে যাব, আর যদি কিসমতে জাহান্নামই লেখা থাকে, তাহলে যতই ইবাদত করি না কেন, যেতে তো জাহান্নামেই হবে।
مَعَاذَ الله আল্লাহ পাকের আশ্রয়...!! এগুলো অত্যন্ত কঠোর বাক্য এবং শয়তানের অত্যন্ত কঠিন আক্রমণ। এই আয়াতে কারীমার প্রতি লক্ষ্য করুন! আল্লাহ পাক একথা বলেননি যে, জান্নাতে যাওয়ার জন্য ইবাদত কর! একথা বলেননি যে, জাহান্নাম থেকে বাঁচার জন্য ইবাদত কর! বরং বলেছেন:
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: হে মানবজাতি! তোমাদের রবের ইবাদত কর।