Ibadat Ke Faide

Book Name:Ibadat Ke Faide

কিছু নির্বোধ এমনও বলে যে, এই যে দুনিয়ার ব্যবস্থা চলছে, এসব কিছুই প্রকৃতির অধীনে চলছে দুনিয়ার ব্যবস্থা হলো, একটি নির্দিষ্ট পর্যায় অতিক্রম করার পর শিশু জন্মগ্রহণ করে, তারপর সে বড় হয়, তারপর যখন তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা ছেড়ে দেয়, তখন সে মারা যায়এটা একেবারেই বোকামিপূর্ণ কথা এমন নির্বোধদের কাছে শুধু এতটুকুই প্রশ্ন যে, একটি শিশু যে মানুষের ঘরে জন্মগ্রহণ করেছে, অবশেষে কী কারণে সে কোনো পশুর ঘরে জন্মগ্রহণ করেনি? অথবা একটি বাছুর যে পশুর গর্ভ থেকে জন্মগ্রহণ করেছে, কী কারণে সে মানুষের ঘরে জন্মগ্রহণ করেনি? কেউ তো আছেন যাঁর সিদ্ধান্ত কার্যকর, কেউ তো আছেন যাঁর হুকুমে আমরা মানুষ হয়েছি এবং বহু সৃষ্টি পশু হয়ে গেছে শুধু তিনিই যাঁর হুকুম চলছে, যাঁর সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে, তিনিই খোদা, তিনিই ইবাদতের যোগ্য

মোটকথা; প্রত্যেক মানুষকে আদেশ করা হয়েছে যে, যেহেতু তোমাদের সৃষ্টিকর্তাও আল্লাহ, তোমাদের মালিকও আল্লাহ, তোমাদের জীবনের উপকরণও আল্লাহ পাকই দেন, তোমাদের পালনকর্তাও আল্লাহ পাকই, সুতরাং তিনিই ইবাদতের যোগ্য, শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদত কর!

মনে রাখবেন! আমরা ইবাদত করলে তার উপকার আল্লাহ পাকের হবে না, বরং তার উপকার আমাদেরই হবে সেটা কীভাবে? বললেন:

لَعَلَّکُمْ تَتَّقُوْنَ (ۙ۲۱)

(পারা ১১, সূরা ইউনুস: ৩২)

কানযুল ঈমানের অনুবাদ: এই আশায় (ইবাদত কর) যে তোমরা পরহেযগারী লাভ করবে

 

াকওয়া একটি অতি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ। সংক্ষেপে বলতে গেলে, আমাদের সত্তা ও ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক বিষয় (Negativity) না থাকাটাই তাকওয়া। উদাহরণস্বরূপ, কোনো ব্যক্তি নিজের ফরযসমূহ পূর্ণ করে না (নামায পড়ে না, রোযা রাখে না, পিতামাতার খিদমত করে না ইত্যাদি), এগুলো নেতিবাচক বিষয়, এগুলো না থাকাই তাকওয়া। কোনো ব্যক্তি ধোঁকা দেয়, এটা নেতিবাচক বিষয়, এটা না থাকাই তাকওয়া। কোনো ব্যক্তি যুলুম করে, অন্যদের অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়, এটা নেতিবাচক বিষয়, এটা না