Book Name:Janwaron Par Reham Kijiye
গেল এবং দৌড়াতে দৌড়াতে রাহমাতুল্লিল আলামীন, শফীউল উম্মত صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم-এর পবিত্র দরবারে উপস্থিত হলো। কসাইও (Butcher) পিছু পিছু পৌঁছে গেল। সে বকরীটিকে পা ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগল। তখন রাহমাতুল্লিল আলামীন, সরওয়ারে কওন ও মাকান صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রথমে বকরীটিকে বললেন: اِصْبِرِیْ لِاَمْرِ اَللهِ অর্থাৎ, আল্লাহ পাকের হুকুমের উপর ধৈর্য ধারণ করো! অতঃপর রহমতের শান দেখিয়ে কসাইকে বললেন: وَ اَنْتَ يَا جَزَّارُ فَسُقْهَا اِلَى الْمَوْتِ سَوْقًا رَفِيقًا অর্থাৎ, হে কসাই! একে মৃত্যুর দিকে কোমলতার সাথে নিয়ে যাও!
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, খণ্ড: ৪, পৃ: ৩৭৭, হাদীস: ৭৬৪০)
سُبْحٰنَ الله!
এই হলো রাহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم-এর পরিপূর্ণ রহমত...! যে বকরী রহমতের দরবারে এসেছিল, তাকে আল্লাহ পাকের হুকুমের উপর ধৈর্য ধারণ করার উপদেশও দিলেন এবং একই সাথে রহমতের শানও দেখালেন যে, কসাইকে নির্দেশ দিলেন: তুমি একে আল্লাহ পাকের হুকুম ও অনুমতিতে মৃত্যুর দিকে তো নিয়ে যাচ্ছ! এই অবস্থাতেও কোমলতা ও কল্যাণের সাথে আচরণ করো! এর সাথে উত্তম ব্যবহার করো!
একটি মিরাসে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم:
উলামায়ে কেরাম বলেন: আমরা রাহমাতুল্লিল আলামীন صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم-এর উম্মত। আর উম্মতের অধিকার হলো সে যেন তার নবীর জীবনীর পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা করে, তার নবীর নীতি গ্রহণ করে, তার নবীর চরিত্রকে নিজের আদর্শ (Ideal) বানায়, তার নবী عَلَیْہِ السَّلَام-এর রঙে রঙ্গিন হওয়ার চেষ্টা করে। একারণেই আল্লাহ পাক আমাদেরকেও প্রতিটি বিষয়ে অনুগ্রহ ও কল্যাণের নির্দেশ দিয়েছেন, কারণ আমরা রাহমাতুল্লিল আলামীন صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم-এর উম্মত। আমাদের জন্য শোভনীয় নয় যে, আমরা কাউকে কষ্ট দিই, কাউকে দুঃখ দিই, কাউকে অন্যায়ভাবে যন্ত্রণা দিই। ইমাম শা'রানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: রাসূলুল্লাহ, আহমাদে মুজতবা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم-এর পক্ষ থেকে আমাদের কাছ থেকে এই অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি শরীয়তের গণ্ডির মধ্যে থেকে সহানুভূতি দেখাব।
(লাওয়াকিহুল আনওয়ারুল কুদসিয়াহ, খণ্ড:১, পৃ: ৫৭২)