Book Name:Janwaron Par Reham Kijiye
নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন। এর উপর হযরত ইবরাহীম عَلَیْہِ السَّلَام পড়লেন: لَآ اِلٰہَ اِلَّا اَللهُ وَ اَللهُ اَکْبَر। অতঃপর আল্লাহ পাকের হুকুমে হযরত ইসমাঈল عَلَیْہِ السَّلَام-এর হাত-পা খোলা হলো এবং তাঁকে কুরবানী কবুল হওয়ার সুসংবাদ দেওয়া হলো। তখন হযরত ইসমাঈল عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: اَللهُ اَکْبَرُ وَلِلّٰہِ الْحَمْد۔
সেই সময় হযরত জিবরাঈল আমীন عَلَیْہِ السَّلَام, হযরত ইবরাহীম عَلَیْہِ السَّلَام এবং হযরত ইসমাঈল عَلَیْہِ السَّلَام যা কিছু পড়েছিলেন, সেগুলোকে পরস্পরের সাথে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। একেই তাকবীরে তাশরীক বলা হয়: اَللهُ اَکْبَرُ اَللهُ اَکْبَرُ لَآ اِلٰہَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَکْبَرُ اَللهُ اَ کْبَرُ وَلِلّٰہِ الْحَمْد۔
(মিরআতুল মানাজীহ, খণ্ড: ২, পৃ:৮৮ )
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরাও চেষ্টা করব যেন এই মহান ব্যক্তিত্বদের স্মরণে আইয়ামে তাশরীকে প্রত্যেক নামাযের পর চোখ বন্ধ করে হযরত ইবরাহীম عَلَیْہِ السَّلَام ও ইসমাঈল عَلَیْہِ السَّلَام-এর কুরবানীর কল্পনা করে তাকবীরে তাশরীক পড়ি। اِنْ شَآءَ الله তাকবীর পড়ার আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যাবে। আল্লাহ পাক আমাদের তাওফীক নসীব করুন।
আইয়ামে তাশরীক হলো আল্লাহর যিকিরের দিন:
হে আশিকানে রাসূল! ১০ই যিলহজ (অর্থাৎ ঈদুল আযহার প্রথম দিন) থেকে ১৩ই যিলহজ পর্যন্ত, অর্থাৎ এই ৪ দিন রোযা রাখা শরয়ীভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী, রাসূল হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: اَلَا وَاِنَّ هٰذِهِ الْاَيَّامَ اَيَّامُ اَكْلٍ وَّشُرْبٍ وَّذِكْرِ اللَّهِ অর্থাৎ শুনে রাখো! নিশ্চয়ই এই দিনগুলো পানাহার এবং আল্লাহর যিকির করার দিন।
( মুসলিম, পৃ: ৪১২, হাদীস: ১১৪১)
হাকীমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বলেন: এর অর্থ হলো, এই দিনগুলো বান্দাদের মেহমানীর দিন, যেগুলোতে আল্লাহ পাক মেজবান এবং বান্দা মেহমান। একারণে এই দিনগুলোতে রোযা রাখা যেন আল্লাহ পাকের দাওয়াতকে অস্বীকার করার শামিল। সুতরাং এই দিনগুলোতে খাও! পান করো! এবং প্রচুর পরিমাণে আল্লাহর যিকির করো! (মিরআতুল মানাজীহ, খণ্ড: ৩, পৃ: ১৮৬)