Book Name:Janwaron Par Reham Kijiye
দিন) বলা হয়। * এর পরবর্তী ৩ দিন (১১, ১২ ও ১৩ যিলহজ)-কে আইয়ামে তাশরীক বলা হয়।
হযরত মুআয বিন জাবাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী, রাসূল হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: "যে ব্যক্তি পাঁচটি রাতকে জীবিত রাখে (অর্থাৎ জেগে ইবাদতে কাটায়), তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।" সেই পাঁচটি রাত হলো: (১) لَيْلَةُ التَّرْوِيَہ (অর্থাৎ ৮ই যিলহজের রাত) (২) لَيْلَةُ الْعَرَفَہ (অর্থাৎ ৯ই যিলহজের রাত) (৩) لَيْلَةُ النَّحْر (অর্থাৎ ১০ই যিলহজের রাত) (৪) لَيْلَةُ الْفِطْر (অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের চাঁদ রাত) (৫) لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَان (অর্থাৎ শবে বরাত)।
(আত তারগীব ওয়াত তারহীব, পৃ:৩৭৩, হাদীস:২ )
হে আশিকানে রাসূল! ইবাদত যখনই করা হোক না কেন, তার বরকত আর বরকত রয়েছে, ফযীলত আর ফযীলত রয়েছে। তবে এই দিনগুলো, যা আমরা এখন অতিবাহিত করছি, এবং এই রাতগুলো, যা হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, এগুলো বিশেষভাবে ইবাদতের রাত। আমাদের উচিত, নিজেদের ব্যস্ততা কিছুটা কমিয়ে, সময় বের করে এই রাতগুলো ইবাদতে কাটানো। * ফরয নামায তো পড়তেই হবে, তার সাথে নফল নামায পড়ব। * কুরআন তিলাওয়াত করব। * আল্লাহর যিকির করব। * দরূদ শরীফ পড়ব। * দ্বীনি কিতাব পড়ব। * দ্বীনি ইলম শিখব। মোটকথা, কোনো না কোনোভাবে আমাদের এই রাতগুলো যেন ইবাদতেই অতিবাহিত হয়, তাহলে اِنْ شَآءَ الله অগণিত নেকী অর্জিত হবে, সওয়াব মিলবে এবং আল্লাহ পাক চাইলে اِنْ شَآءَ الله জান্নাতে প্রবেশও নসীব হবে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
তাকবীরে তাশরীক পড়ার কুরআনী নির্দেশ:
পারা: ২, সূরা বাকারা, আয়াত: ২০৩-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ اذْکُرُوا اللّٰہَ فِیْۤ اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ ؕ
(পারা ২, সূরা বাকারা, আয়াত ২০৩) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আর আল্লাহকে স্মরণ কর গণনাকৃত দিনগুলোতে।