Book Name:Namaz Mein Khushu Laney Ke 27 Madani Phool
গুরুত্বপূর্ণ ফরয হলো নামায, এর অসংখ্য ফযিলত ও উপকারীতা বর্ণনা করা হয়েছে। এখন এসব উপকারীতা অর্জন করার জন্য এই মহা গুরুত্বপূর্ণ ফরযটি আদায় করতে আমাদের সময় বের করতিই হবে, কিন্তু আফসোস! * আমাদের এখানে অবস্থা এমন যে, মানুষ তাড়াহুড়ো করে মসজিদে আসে, যেমন তেমন করে সম্ভব নামায পড়ে এবং বাড়িতে ফিরে যায়, যত দ্রুত নামাযের সময় অতিবাহত করা হয়, হয়তো অন্য কোনো কাজে এত তাড়াহুড়ো করা হয় না...!
* অতঃপর অভিশপ্ত শয়তান...! সেও বিরক্ত করতে থাকে, যখনই নামায শুরু করলো, কখনো কোন কাজ মনে পড়ে যায়, কখনো কারো কথা মনে পড়ে যায়, ব্যস তখনই তাড়াহুড়ার কান্ড হয়ে যায় যে, তাড়াতাড়ি নামায শেষ কর! এখনো তো অমুক অমুক কাজ করতে হবে।
এভাবে মানুষ দুনিয়াবী কাজের জন্য নামাযে তাড়াহুড়ো করে এবং নামাযের আদবের তোয়াক্কা না করেই কোনভাবে নামায পড়ে নেয়। আল্লাহ পাক আমাদের অবস্থার প্রতি দয়া করুন, নামাযে তাড়াহুড়ো করা অত্যন্ত ক্ষতিকর ব্যাপার।
আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: মানুষের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর হলো সে, যে নামাযে চুরি করে। সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان আরয করলেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! কোন মানুষ তার নামাযে কীভাবে চুরি করতে পারে? তখন রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি তার রুকু ও সিজদা সম্পূর্ণ করে না। (মুসনাদে আবু দাউদ তায়ালিসী, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৬৬৯, হাদীস:২৩৩৩)
খাদিমে নবী, হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ হতে বর্ণিত; আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি সঠিক সময়ে নামায আদায় করে এবং নামাযের জন্য ভালভাবে অযু করে আর তার কিয়াম, বিনয়, রুকু ও সিজদা পূর্ণ করে তবে তার নামায পরিষ্কার ও উজ্জল হয়ে এটা বলে বের হয় যে: