Namaz Mein Khushu Laney Ke 27 Madani Phool

Book Name:Namaz Mein Khushu Laney Ke 27 Madani Phool

আমল অর্থাৎ শান্তভাবে দন্ডায়মান থাকা, এদিক সেদিক না তাকানো, নিজের শরীর এবং কাপড় নিয়ে খেলা না করা এবং কোন অনর্থক কাজ না করা (ফয়যানে নামায, পৃষ্ঠা ২৮২)

 

বিনয় সহকারে নামায পড়া গুনাহের কাফফারা

    মুসলমানদের তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান ইবনে আফফান
رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমি আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে এরূপ ইরশাদ করতে শুনেছি; যে মুসলমানের উপর ফরয নামাযের সময় আসে এবং সে ভালোভাবে অযু করে বিনয় সহকারে নামায পড়ে এবং সঠিক পদ্ধতিতে রুকু করে, তবে সেই নামায তার অতীতের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়, যতক্ষণ না সে কবীরা গুনাহ করে এবং তা (গুনাহ ক্ষমা হওয়ার ধারাবাহিকতা) সর্বদাই হয়ে থাকে (কোন সময়ের সাথে নির্দিষ্ট নয়)

(মুসলিম, পৃষ্ঠা ১০৭, হাদী ২২৪) 

 

রুকু দ্বারা উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ নামায

    আল্লামা আব্দুল রউফ মুনাভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের আলোকে লিখেন: রুকু দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নামাযের সকল আরকান অর্থাৎ সেই নামাযের সকল আরকান উত্তমরূপে এবং বিনয় সহকারে আদায় করা এবং সকল আরকান উত্তমরূপে আদায় করার অর্থ হলো, প্রত্যেক রুকন সম্পূর্ণভাবে (সুন্নাত ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রেখে) আদায় করা(তিনি আরো বলেন:) নামায সগীরা (অর্থাৎ ছোট) গুনাহের জন্যে কাফফারা হবে, কবীরা (অর্থাৎ বড়) গুনাহের জন্যে নয়, কেননা কবীরা গুনাহ নামাযের মাধ্যমে ক্ষমা হয় না (কবীরা গুনাহের ক্ষমার জন্যে তাওবা এবং এর দাবী পূরণ করতে হবে)(আত তাইসী, খন্ড , পৃষ্ঠা ৩৫৮)

 

উপার্জনে বরকত লাভের শক্তিশালী উপায়

    উপার্জনে বরকত লাভের শক্তিশালী মাধ্যম হলো যে, মানুষ নামাযকে বিনয় একাগ্রতা, তাদীলে আরকান (অর্থাৎ নামাযের ফরয সমূহ ধীরে ধীরে আদায়) এর প্রতি লক্ষ্য রেখে এবং সকল ওয়াজিব এবং সুন্নাত আদব সমূহ সম্পূর্ণরূপে আদায় করা(রাহে ইলম, পৃষ্ঠা ৯২, ১০৩)