Book Name:Namaz Mein Khushu Laney Ke 27 Madani Phool
(৩) একনিষ্ঠতার সহিত নামায পড়ুন!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নামাযের কবুলিয়্যতের জন্য সবচেয়ে মৌলিক শর্ত হলো একনিষ্ঠতা। অতএব সব ধরণের নামায তা ফরয হোক বা নফল, শুধুমাত্র আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার জন্য আদায় করা উচিত, অন্যদের দেখানোর জন্য লৌকিকতা সম্পন্ন নামায পড়া উচিত নয়।
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি মানুষের সামনে উত্তম পদ্ধতিতে এবং একাকীত্বে খারাপ ভাবে নামায আদায় করে, নিঃসন্দেহে সে রাব্বুল আলামিনকে অপমান করলো।
(মুসনাদে ইয়ালা, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ১৯০, হাদীস ৫১১৪)
নোট: এখানে অপমান দ্বারা আল্লাহর দরবারে আদবের স্বল্পতাকে বোঝানো হয়েছে, কুফরীর সমতুল্য অপমান উদ্দেশ্য নয়।
এক বুযুর্গ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৩০ বছর যাবৎ মসজিদের প্রথম সারিতে জামাআত সহকারে নামায আদায় করতে থাকেন, একবার তাঁর প্রথম সারিতে জায়গা হলো না এবং দ্বিতীয় সারিতে দাঁড়িয়ে গেলেন, তখন তাঁর লজ্জা অনুভূত হতে লাগলো যে, লোকেরা কী বলবে! দেখো! আজ এই ব্যক্তির প্রথম কাতার ছুটে গেছে। এই খেয়াল আসতেই তিনি সংযত হয়ে গেলেন এবং নিজের নফসকে বললেন: “হে নফস! আমি ৩০ বছর যাবৎ যে নামায প্রথম সারিতে আদায় করছিলাম, তা কি মানুষকে দেখানোর জন্যই ছিলো, যার কারণে আজ তোমার লজ্জা অনুভব হচ্ছে!” অতঃপর তিনি অতীতের ৩০ বছরের নামায পুনরায় আদায় করলেন এবং সত্যিকারের একাগ্রতার অসধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।
(ইহইয়াউল উলূম, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩০০)
اَللهُ اَكْبَرُ আমাদের বুযুর্গদের একাগ্রতার প্রেরণার প্রতি শত কোটি মারহাবা! শুধুমাত্র অন্তরের একটি খেয়ালের ভিত্তিতে ত্রিশ বছরের নামায পুনরায় আদায় করে দিলেন। হায়! আমরা অলসদের স্বভাব এমন যে, প্রথমত অন্তরের ক্ষেত ইবাদতের প্রেরণার বীজ শূন্য