Book Name:Zawal Ke Asbab
ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আয়াতে করীমার অর্থ হলো হে মুসলমানগণ! লাওহে মাহফুযে তোমাদের এটাই বৈশিষ্ট লেখা যে তোমরা সবচেয়ে উত্তম এবং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উম্মত, তোমাদের জন্য উপযুক্ত হলো তোমরা এই মর্যাদার হেফাযত করো! (তাফসীরে কবীর, পারা: ৪, সূরা আলে ইমরান, আয়াতের ব্যাখ্যা: ১১০, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩২৩) অর্থাৎ সর্বদা আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আনুগত্যশীল হও...!!
হে আশিকানে রাসূল! এই আয়াতে করীমায় আল্লাহ পাক মুসলমান জাতির ৪টি শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য বর্ণনা দিয়েছেন আর এই চারটি বৈশিষ্ট্য মূলত মুসলিম জাতির চারটি দায়িত্ব বরং জীবনের চারটি উদ্দেশ্য:
হযরত আল্লামা মুফতী আব্দুল মুস্তফা আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতে করীমার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন: একজন মুসলমানের জন্য জীবনের প্রথম উদ্দেশ্য হলো خَیْرُ الْاُمَمْ অর্থাৎ সর্বোত্তম উম্মত হওয়া। যেমনিভাবে গোলাপের জন্য খুশবু, মণি মুক্তার জন্য উজ্জলতা ও সূর্যের জন্য কিরণ আবশ্যক। তেমনিভাবে একজন মুসলমানের জন্য নিজের আমল ও কর্মের দিক দিয়ে সমস্ত উম্মতের মধ্য হতে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ, সবচেয়ে উত্তম, সবচেয়ে ভালো হওয়া জরুরী। ইবাদত বা মুআমালাত (বান্দার সাথে লেনদেন) কিংবা আদব বা আখলাক, মোটকথা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত একজন মুসলমানকে অন্যের কল্যাণকামী হতে হবে, ব্যস পুরো জীবন কুরআন ও সুন্নাতের অনুসরণ করে সিরাতে মুস্তাকীম (অর্থাৎ সরল পথে) চলতে হবে ।
(ইরফানী তাকরিরী, বয়ান: যোওয়াল কে আসবাব, পৃষ্ঠা: ৯৯)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের আসলাফ, আগের যুগের নেককার মুসলমানরা তারা প্রিয় মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাতের অনুসরণ করতেন, কুরআন নির্দেশিত আদর্শে জীবন যাপন করতেন। সে জন্য দুনিয়াতে তাদের নাম ছিলো, মহান রবও তাদের সমৃদ্ধি দান করেছিলেন, তারা উন্নতির শিখরে পৌঁছেছিলেন। অমুসলিমরা তাদের দেখে ঈর্ষা করতো।