Book Name:Dil Ki Islah Kyon Zarori Hai
فَطَالَ عَلَیۡہِمُ الۡاَمَدُ فَقَسَتۡ قُلُوۡبُہُمۡ ؕ
(পারা ২৭, সূরা হাদীদ, আয়াত ১৬)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: অতঃপর তাদের সময়সীমা দীর্ঘায়িত হয়েছে। সুতরাং তাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেছে।
দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষা নেকীর পথে প্রতিবন্ধক ও প্রত্যেক মন্দের মূল হয়ে থাকে, এটি এমন চিকিৎসাহীন রোগ যা আরও অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় * দীর্ঘ আকাঙ্ক্ষার কারণে টাল বাহানা করার অভ্যাস হয়ে যায় * নেক কাজের মধ্যে অলসতা আসে * অন্তরে অলসতার পর্দা পড়ে যায় * দুনিয়ার ভালবাসা বৃদ্ধি পায় * লোভ-লালসা বৃদ্ধি পায় আর দুনিয়ায় লিপ্ত হয়ে পরকালকে ভুলে যায়, যার কারণে তার অন্তর কঠোর হয়ে যায় আর গুনাহের ময়লা ছড়িয়ে পড়ে।
এজন্য যেই ব্যক্তি অন্তরের সংশোধন চায়, তার উচিত নিজের আকাঙ্ক্ষা কম করা এবং মৃত্যুকে সব সময় মনে রাখা।
একদিন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত উসামা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে এক মাসের ধার নিয়ে পণ্যদব্য ক্রয় করতে দেখেন তখন ইরশাদ করেন: তোমরা কি উসামার উপর অবাক হচ্ছো না যে সে এক মাসের জন্য কেনাকাটা করছে, আল্লাহ পাকের শপথ! যখন আমি যমিনে কদম রাখি তখন কল্পনা করি যে কদম উঠানোর পূর্বে মৃত্যু এসে যায় কিনা, যখন মুখে লোকমা দিই কল্পনা হয় যে সেটা গেলার পূর্বে মৃত্যু এসে যায় কিনা।
(শুয়াবুল ঈমান, খন্ড: ৭, পৃষ্ঠা: ৩৫৫, হাদীস: ১০৫৬৪)
অন্তরের অন্ধকার দূর করার দ্বিতীয় বড় উপায় হলো হিংসা দূর করা। নিজের মুসলমান ভাইয়ের নিকট থেকে নেয়ামত ছিনিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করাকে হিংসা বলে। এটা অনেক বড় বাতেনী রোগ, আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে হিংসা করা থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন:
وَ مِنۡ شَرِّ حَاسِدٍ اِذَا حَسَدَ (۵)