Dil Ki Islah Kyon Zarori Hai

Book Name:Dil Ki Islah Kyon Zarori Hai

কামিলের কৃপাদৃষ্টি নসীব হয়ে যায় তাহলে তো এক নজরেই অন্তর পরিষ্কার হয়ে যাবে, অন্যথায় সেটার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়, নেক আমল দ্বারা ধীরে ধীরে অন্তর পবিত্র হয়ে থাকে বরং অন্তর গুনাহের অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে থাকে তাহলে এক দীর্ঘ সময় নেকীর অভ্যাস গড়ে তোলার প্রয়োজন হয়, এরপর একপর্যায় অন্তরের অন্ধকার নেমে আসতে আরম্ভ হয় কিন্তু তাড়াহুড়া করা ব্যক্তি এতোটুকু ধৈর্যধারণ করে না, সে দুই চারদিন চেষ্টা করে থাকে, বাহ্যিকভাবে কোন উপকার দেখা যায় না তো সাহস হারিয়ে বসে এইভাবে তার অন্তরের সংশোধন করাটা কঠিন হয়ে যায় এজন্য অন্তরের সংশোধন চাইলে তার জন্য জরুরী যেনো মানুষ তাড়াহুড়া করা ছেড়ে দেয় আর অন্তরের পরিচ্ছন্নতার জন্য নেকীর মধ্যে লেগে থাকে, চেষ্টা করতে থাকে

    () তাড়াহুড়ার কারণে অন্তর কঠোর হয়ে যাওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো অন্তরের সংশোধনের জন্য খোদাভীরুতা (অর্থাৎ পরহেযগারী যেমন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা) অনেক জরুরী আর পরহেযগারীর মূল হলো মানুষ প্রতিটি কাজ ধীর স্থিরতা সহকারে, চিন্তাভাবনা করে করবে, যখন মানুষ ধৈর্য বিবেচনার পরিবর্তে তাড়াহুড়া করে কাজ করে, চিন্তাভাবনা করে না তখন গুনাহের মধ্যে পতিত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে, উদাহরণস্বরুপ সে যদি চিন্তাভাবনা না করে কথা বলার অভ্যস্ত হয় তাহলে মিথ্যা, গীবত, চোগলখোরীর মতো গুনাহের মধ্যে পতিত হতে পারে, যদি চিন্তাভাবনা করা ব্যতীত খাওয়ার অভ্যস্ত হয় তাহলে হারাম খাওয়ার মধ্যে পড়তে পারে, এইভাবে তাড়াহুড়াকারী গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে দাড়ায় আর যদি গুনাহ থেকে বাঁচতে না পারে তবে অন্তরের সংশোধন কিভাবে হবে? বরং গুনাহের কালি আরও অন্তরে ছেঁয়ে যাবে

    এজন্য অন্তরের সংশোধনের জন্য জরুরী মানুষ তাড়াহুড়া থেকে বিরত থাকা, সহনশীলতা ধৈর্যের স্বভাব গ্রহণ করা, প্রতিটি কাজ চিন্তাভাবনা, ধৈর্যের স্বভাব সহনশীলতার সহকারে করা এটার একটি উত্তম পদ্ধতি এটাও যে প্রতিটি জায়িয কাজের পূর্বে কয়েক সেকেন্ড থেমে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস বানিয়ে নিন, এটার اِنْ شَآءَ الله সাওয়াব বৃদ্ধি পাবে, প্রতিটি নেক জায়িয কাজের মধ্যে আল্লাহ পাকে সন্তুষ্টির নিয়্যত সংযুক্ত থাকবে! اِنْ شَآءَ الله অন্তর দ্রুত পবিত্র হয়ে যাবে