Book Name:Dil Ki Islah Kyon Zarori Hai
হে আশিকানে রাসূল! আল্লাহ পাক আমাদের অন্তরে এই বৈশিষ্ট্য দান করেছেন যে মন্দ কাজ করে তখন মনের ভয়ের গতি বেড়ে যায়, হয়তো আমাদের মধ্য হতে অনেকে এ অনুমান করেছেন যখন কোন বান্দা প্রথমবার কোন মন্দ কাজ করে তখন অন্তরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, উদাহরণস্বরুপ চোর যখন প্রথমবার চুরি করে বা মদ্যপায়ী যখন প্রথমবার মদ পান করে, তখন অন্তর ভীতসন্ত্রস্ত হয়, স্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়, যদি ঐসময় মানুষ মনের কথা শুনে নেয়, বিবেক থেকে নির্গত কথা মেনে নেয় আর গুনাহ থেকে বিরত থাকে, তবে অন্তরের এই অবস্থা বজায় থাকে, আর যদি বান্দা ঐসময় অন্তরের চিন্তা না করে বরং মন্দ কাজ করে বসে তাহলে ধীরে ধীরে ঐ মন্দ কাজে অভ্যস্ত হয়ে যায় আর এইভাবে অন্তরে কালো দাগ ছেঁয়ে যায়।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! অনুমান করুন! পবিত্র অন্তর কেমন মহান নিয়ামত, উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন আউলিয়াগণ যাদের অন্তর পরিস্কার, গুনাহের কালি তাদের নিকট থাকে না, আল্লাহ পাকের জ্ঞানের নূর তাদের হৃদয়ে চমকাতে থাকে, তাদের অন্তরকে নেকী ও গুনাহের পরীক্ষা দেয়া হয়, আল্লাহ না করুক ঘটনাক্রমে কখনো কোন কিছু ঘটেও যায় তখন তাদের পবিত্র অন্তরগুলোতে সাথে সাথে সন্দেহ হয়ে যায় আর তারা গুনাহ থেকে বেচে যায়, মনে রাখবেন! আউলিয়ায়ে কিরামগণ আল্লাহ পাকের দানক্রমে গুনাহ থেকে রক্ষা পায়।
শায়খ আবু আলী দাক্কাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত হারিছ মুহাসিবি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কখনো কখনো অজান্তে সন্দেহ যুক্ত খাবারের দিকে হাত অগ্রসর করতেন তো তাঁর আঙ্গুলের রগ জ্বলে উঠতো, এইভাবে তিনি বুঝে যেতেন যে এই খাবার (১০০ ভাগ) হালাল নয়, এতে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। একবার তিনি কোথাও যাচ্ছিলেন, এক ভদ্রলোক খাবারের দাওয়াত দিলো, তিনি তার মন খুশি করার জন্য তার ঘরে তাশরিফ নিয়ে গেলেন, তিনি প্রথম লোকমা মুখে রেখেছিলেন মাত্র, সেটাকে মুখের ভিতর নাড়া চাড়া করতে লাগলেন, গিলে ফেলার চেষ্টা করতে রইলেন কিন্তু গিলতে পারছিলেন না, অবশেষে তিনি সেই লোকমা মুখ থেকে বের করে ফেললেন। পরবর্তীতে জানতে পারলেন; ঐ খাবারের মধ্যে সন্দেহ ছিলো।