Book Name:Asmani Kitabain Aur Farooq e Azam
الْخَطَّاب হে আল্লাহ পাক! ওমর বিন খত্তাবের মাধ্যমে ইসলামের সম্মান বৃদ্ধি করুন। (ইবনে মাজা, ৩১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১০৫)
সেই দোয়ার বরকত ছিলো যে দিন ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ইসলাম কবুল করলেন, সে সময় মুসলমান খুশি হয়ে আল্লাহু আকবর বলে স্লোগান দিলেন, যার আওয়াজ মুক্কা মোকাররমার দূর দূরান্ত পর্যন্ত শোনা যায়, সেই দিনে মুসলমান সর্বপ্রথম মসজিদে হারমে প্রকাশ্যভাবে নামায আদায় করলেন। সেই দিন থেকে নিয়ে যাহিরী হায়াত পর্যন্ত ইসলামের মার্যাদা আরো উন্নত থেকে উন্নত হতে থাকে দূর দূরান্ত পর্যন্ত ইসলাম প্রসার করেছে, ন্যায় ও ইনসাফের অগণিত নিয়ম প্রতিষ্ঠা করেছে এবং অমুসলিমের মহল্লাতে পর্যন্ত ইসলামের পতাকা উত্তলন হয়েছে।
হে আশেকানে রাসূল! এ দোয়ার প্রভাব...!! হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যখক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়াতে ছিলো, ইসলামের মর্যাদা উন্নত থেকে উন্নত হতে থাকে কিন্তু আহ! যখন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ইন্তেকাল হয়, তিনি দুনিয়া থেকে পর্দা করেন, সেই সময় থেকে ফিতনার যুগ শোরু হয়ে গেলো।
মুসলমান সম্প্রদায় ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর
একবার হযরত জিব্রাঈল আমীন عَلَیْہِ
السَّلَام নবী করীম صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে উপস্থিত ছিলেন, হযরত ওমর ফারুক رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ এর উত্তম আলোচনা হচ্ছে, সে সময় হযরত জিব্রাইল عَلَیْہِ
السَّلَام আরজ করলেন: لَيَبْكِيَنَّ
الْاِسْلَامُ مِنْ بَعْدِ مَوْتِكَ عَلٰى مَوْتِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ
অর্থাৎ ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! মুসলিম সম্প্রদায় দু’বার কান্না করবে, একবার ঐ সময় যখন আপনি দুনিয়া থেকে পর্দা করবেন আর দ্বিতীয়বার যখন ওমর ফারুকে আযম
رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ইন্তেকাল হবে। (রিয়াযুন নযরত, ২৭৩ পৃষ্ঠা)
যে দিন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ইন্তেকাল হলো, সে দিন আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুধ মা হযরত উম্মে আয়মন رَضِیَ اللهُ عَنْہَا বললেন: اَلْيَوْمَ وَهِيَ الْاِسْلَامُ অর্থাৎ আজ ইসলাম দূর্বল হয়ে গেলো। (মু’জামুল কাবির, ২৫ খন্ড, ৪৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২২১)