Book Name:Asmani Kitabain Aur Farooq e Azam
مُحَمَّدٌ رَّسُوۡلُ اللّٰہِ ؕ وَ الَّذِیۡنَ مَعَہٗۤ اَشِدَّآءُ عَلَی الۡکُفَّارِ رُحَمَآءُ بَیۡنَہُمۡ تَرٰىہُمۡ رُکَّعًا سُجَّدًا یَّبۡتَغُوۡنَ فَضۡلًا مِّنَ اللّٰہِ وَ رِضۡوَانًا ۫ سِیۡمَاہُمۡ فِیۡ وُجُوۡہِہِمۡ مِّنۡ اَثَرِ السُّجُوۡدِ ؕ
এ আয়াতে মহান আল্লাহ পাক রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাহাবীদের চিহ্নিত করিয়েছেন যে আমার প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাহাবী করা? এরা হলো ঐসমস্ত লোক: (১): যারা কাফেরদের প্রতি খুব কঠোর (২) তারা নিজেদের মধ্যে খুব সরল মনের (৩) তারা ঘন ঘন নামায পড়েন, কখনও তারা সেজদা করেন, কখনো তারা রুকু করেন (৪) এবং তারা রিয়াকারী করেন না, তারা দেখানো জন্য ইবাদ করেন না, বরং তাদের উদ্দেশ্য শোধুমাত্র আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর সন্তুষ্টি (৫) সাহাবায়ে কেরামগণ হলো ঐ মহান ব্যক্তিত্ব তাদের চেহরায় সিজদার চিহ্ন দেখা যায় ও ইবাদতের নূর দেখা যায়।
আল্লাহ পাক সাহাবায়ে কেরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এর এই পবিত্র গুনাবলী বর্ণনা করার পর বললেন:
ذٰلِکَ مَثَلُہُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ ۚۖۛ وَ مَثَلُہُمۡ فِی الۡاِنۡجِیۡلِ ۚ
আল্লাহ! আল্লাহ! নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ও সাহাবায়ে কেরামগণের এই সমস্ত গুণাবলী তাওরাত শরীফে এবং ইঞ্জিলও লেখা হয়েছে।
سُبْحٰنَ الله! বোঝা গেলো সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এখনও দুনিয়াতে আসেননি, এর পূর্বেও দুনিয়াতে তাদের নিয়ে আলোচনা হতো, মানুষ যখন তাওরাত ও ইঞ্জিল শরীফ তিলাওয়াত করতো সেই তিলাওয়াতে সাহাবায়ে কেরামগণের উত্তম আলোচনাও হতো এবং লোকেরা এতে সাওয়াবের আশাও করতো।
মনে রাখবেন! পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে মানুষ তাদের ইচ্ছামত আসমানী কিতাব পরিবর্তন করে দিয়েছে। সে জন্য সেসব আসমানি কিতাব পড়া আর সঠিক নয়। তবে মানুষের বিকৃতি সত্ত্বেও এসব কিতাবে সাহাবীদের আলোচনা বিদ্যমান ছিলো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দ্বীনের আহকাম প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে কঠোর প্রদর্শনকারী শাসক
একবার মুসলমানের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এক পাদ্রীকে জিজ্ঞেস করেন: ھَلْ تَجِدُوْنَا فِیْ شَیْءٍ مِّنْ کُتُبِکُمْ তোমাদের কিতাবে কি আমার ব্যাপারেও কি কিছু লেখা আছে? পাদ্রী হ্যাঁ বলে উত্তর দিলেন, হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ