Book Name:Asmani Kitabain Aur Farooq e Azam
হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মক্কায় জন্মগ্রহণ করে ছিলেন, অন্য এক রেওয়াত অনুযায়ী তিনি ৩৯ জন পুরুষের পর মুসলমান হয়েছিলেন, তাই তাকে مُتَمِّمُ الْاَرْبَعِین (অর্থাৎ যিনি ৪০ নম্বর পূর্ণ কারী বলা হয়। (রিয়াযুন নযরত, ২৩৫ পৃষ্ঠা) নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাকে ইসলামে আসার জন্য আল্লাহর নিকট তার জন্য দোয়া করেছেন। তাই তাকে মুরাদে রাসূলও বলা হয়। তার ন্যায় ও ইনসাফ অগণিত, এই জন্য اَعْدَلُ الْاَصْحَاب (অর্থাৎ সবচেয়ে বড় ন্যয়পরায়নকারী বলা হয়। (ফযানে ফারুকে আযম, ১ খন্ড, ৫৪ পৃষ্ঠা)
হযরত ওমর ফারুক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ পৃথিবীতে ৬৩ বছর তাশরিফ রেখেছিলেন * ১২ বছর ধরে খিলাফতের দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করেন। (ফয়যানে ফারুকে আযম, ১ খন্ড, ৫১) * তাঁর খিলাফতকাল ছিলো মুসলমানদের উত্থানের স্বর্ণযুগ ছিলো * তাঁর শৈলী শাসন * তার ন্যায় ও ইনসাফ * তাঁর উত্তম নৈতিকতা ও চরিত্রবান * আল্লাহর ভয় * তাকওয়া ও পরহেজগার * নম্রতা ও ভদ্রতা এবং অনিচ্ছা * তপস্যা * মমতা ইত্যাদি কিয়ামত পর্যন্ত আগত মুসলমানদের জন্য জীবনের অত্যন্ত উত্তম উদাহরণ।
ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর কিছু ফযীলত,
হে আশেকানে সাহাবা ও আহলে বাইত! হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মর্যাদা সীমাহীন ও অগণিত। একদা হযরত জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে উপস্থিত ছিলেন। হযরত ওমর ফারুক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর আলোচনা হলো তখন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: হে জিব্রাঈল! বয়সের ফযীলত ও আল্লাহর নিকট তাদের অবস্থান বর্ণনা করুন! হযরত জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام বললেন: : لَوْجَلَسْتُ مَعَكَ قَدْرَ مَا لَبِثَ نُوْحٌ فِيْ قَوْمِهٖ لَمْ اَسْتَطِعْ اَنْ اُخْبِرَكَ بِفَضَائِلِ عُمَرَ وَمَا لَهٗ عِنْدَ اللهِ অর্থাৎ ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! নূহ عَلَیْہِ السَّلَام যতটুকু বয়স পেয়েছে আমি যদি এত বছরও আপনার খেদমতে বসে এবং হযরত ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এরই ফযীলত সম্পর্কে বর্ণনা করতে থাকি তারপরও আমি হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ফযীলতসমূহ এবং আল্লাহ পাকের দরবারে এর মর্যাদা সম্পূর্ণভাবে বর্ণনা করতে পারবো না। (রিয়াযুন নাযর, ২৭৩ পৃষ্ঠা)