Book Name:Asmani Kitabain Aur Farooq e Azam
হে কিয়ামত বাসি! ইনি হলেন ওমর...!!
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত আছে, কিয়ামতের দিন যখন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আল্লাহ পাকের দরবারে উপস্থিত হবে, সে সময় ইসলাম আরজ করবে: يَا رَبِّ هٰذَا عُمَرُ اَعَزَّنِيْ فِيْ دَارِ الدُّنْيَا فَاَعِزْهُ فِيْ عَرَصَاتِ الْقِيَامَةِ অর্থাৎ হে প্রতিপালক ও দয়ালু! এটা ওমর, তিনি দুনিয়াতে আমার সম্মান বৃদ্ধি করেছে, আজ কিয়ামতের মাঠে তুমি তাকে সম্মান দান করুন।
এর সাথে সাথেই হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে ২ টি জুব্বা পরিধান করাবে, সে উভয় জুব্বার সুগন্ধী এমন হবে যে তার মধ্যে হতে যদি একটিও পৃথিবীতে খুলে দেয়া হয় তখন সমস্ত পৃথিবী তার সুগন্ধীতে ভরে যাবে। হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে নূরানী উটের উপর বাসানো হবে, তার সামনে সত্তর হাজার পতাকা উড়াবে। সে সময় কিয়ামতের মাঠে একটি আওয়াজ আসবে: یٰاَهْلَ الْمَوْقَفِ هٰذَا عُمَرُ فَاعْرِفُوْهُ হে কিয়ামত বাসি! ইনি ওমর উনাকে চিনে নিন....? (রিয়াযুন নযর, ২৭৪ পৃষ্ঠা)
হে আশেকানে সাহাবা ও আহলে বাইত!
হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যতক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়াতে ছিলেন,
ইসলামের উন্নতির জন্য সচেষ্টা ছিলেন * প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
এর সাথে যুদ্ধসমূহে অংশগ্রহণ করেন, নিজের জীবন হাতে রেখে তিনি ইসলামের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন * ইসলামের
উন্নতির জন্য তিনি নিজেকে কষ্টের মধ্যেও ফেলেছেন। পৃথিবীতে ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন,
এর জন্য তিনি ক্ষুধার্তও ছিলেন,
*
বিশ্বের প্রায় অর্ধেক রাজ্রের খলিফা হওয়া সত্ত্বেও তিনি জোড়াতালিযুক্ত
পোষাক পরিধান করতেন *
কষ্ট ভোগ করেন *
নিজ আকাঙ্খাকে ভূলুন্ঠিত করে সর্বদা ইসলামকে সমুন্নত করেছেন। এতে আমাদের
জন্য শিক্ষা রয়েছে যে হায়! আমরা নিজের বাসনা পূরণের উদ্দেশ্যে,
নিজের আরামের জন্য, ইসলামের
উন্নতির পরওয়া করিনা। আমাদের চরিত্র দেখে অমুসলিমরা ইসলামকে ঘৃণা করতে থাকে,
হায়! দুনিয়ার ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে ধন-সম্পদের লোভে,
আমি আমার নিজের জন্য, জাত
বংশের নামে অহেতুক মারামারি করি, হত্যাযজ্ঞ,
প্রতরণা করা, মিথ্যা অপবাদ দেয়া,
ধোকা দেয়া মোট কথা এমন কী মন্দকাজ যা আজ