বাচ্চাকে দেখলো, তখন ঐ সুস্থ বাচ্চাকে ধরে পানিতে এমনভাবে ডুবালো যে বাচ্চাটা মারা গেলো। তারপর আরেকজনকে ধরলো, তাকেও ডুবিয়ে হত্যা করলো। এই দৃশ্য দেখে হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام কষ্ট পেলেন আর দোয়া করলেন: হে আল্লাহ! এ তো অন্ধই ভালো ছিলো। সুতরাং তার দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ছিনিয়ে নেয়া হলো। (আঁসো কা দরিয়া, ২৫২ পৃষ্ঠা)

    প্রিয় ইসলামী বোনেরা! যখন আল্লাহ পাক প্রত্যেককে পূর্ণতা দান করেছেন, আল্লাহ পাকের দরবার থেকে যার যাই মিলছে, তা ১০০ পার্সেন্টই মিলেছে, প্রত্যেকেই যে যে অবস্থানে আছে, ঐ অবস্থাটই তার জন্য উত্তম- যদি তাই তবে বলুন! অভিযোগ করার দরকার কী? অভিযোগ তো তখন করা হয়, যখন আমাদের সাথে অবিচার করা হয়। এখানে অবিচার তো করা হয় নি বরং প্রত্যেককে পরিপূর্ণই দান করা হয়েছে, প্রত্যেককে তার সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী উত্তম অবস্থায় রাখা হয়েছে। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হলো আমরা যেন তার উপর সন্তুষ্ট থাকি। এরপরও যে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অভিযোগ করে, সে মূলত চায় যে- চোখ শ্রবণ করূক আর কান দেখুক, যা কিনা স্পষ্ট মূর্খতা। কান তো দেখার জন্য নয় শোনার জন্য, চোখ শোনার জন্য নয় দেখার জন্য, সুতরাং আল্লাহ পাক যাকে যেখানে রেখেছেন, যে অবস্থায় রেখেছেন, তার উচিত তাতে সন্তুষ্ট থাকা।

সন্তুষ্ট ও অসন্তুষ্ট থাকা ব্যক্তিদের জন্য সুসংবাদ

    আল্লাহ পাকের শেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: طُوۡبٰی لِمَنۡ ھُدِیَ لِلۡاِسۡلَامِ وَکَانَ رِزۡقُہٗ کَفَافًا وَرَضِیَ بِہٖ অর্থাৎ সুসংবাদ হলো তার জন্য যাকে ইসলামের পথ প্রদর্শন দান করা হয়েছে, প্রয়োজনুসারে রিযিক দেয়া হয়েছে আর সে তাতে সন্তুষ্ট। (ইহয়াউল উলুম, ৫/১৫৯। তিরমিযি, ৫৬১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২৩৪৯)

কবর থেকে উড়ে জান্নাতে প্রবেশকারী

    একটি হাদীসে পাকে রয়েছে: যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন আল্লাহ পাক আমার উম্মতের একটি দলকে ডানা দান করবেন, যার সাহায্যে তারা নিজেদের কবর থেকে উড়ে জান্নাতে চলে যাবে আর ওখানে যেমন চাইবে উপভোগ করবে। ফেরেশতারা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে: তোমরা হিসাব দিয়ে ফেলেছো? তারা বলবে: আমরা হিসাব