Book Name:ALLAH Ki Riza Sab Se Bari Cheez Hai
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর আল্লাহর সন্তুষ্টি সর্বশ্রেষ্ঠ জিনিস।
অর্থাৎ জান্নাতের নেয়ামত সমূহের মধ্য হতে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হবে আল্লাহ পাক জান্নাতীদের উপর রাজি হয়ে যাবেন, কখনো নারাজ হবেন না। (তাফসীরে খাযিন, পারা: ১০, সূরা তাওবা, আয়াতের ব্যাখ্যা: ৭২, খন্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৬১)
হাদীসে পাকে রয়েছে: আল্লাহ পাক ঈমানদারদের উপর ঈমানের তাজাললী দান করবেন আর হুকুম করবেন : আমার কাছ থেকে চাও! এতে জান্নাতীরা আরয করবে: হে আল্লাহ পাক! আমরা তোমার সন্তুষ্টি চাই। (মু’জামে আওসাত, খন্ড: ১, পৃষ্ঠা: ৫৬৬, হাদীস: ২০৮৪)
দেখুন! জান্নাতীরা জান্নাতে পৌঁছে, আল্লাহ পাকের তাজাললী দেখেও তাঁর সন্তুষ্টি কামনা করবে, বোঝা গেলো; আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি পাওয়া এটা পরকালের নেয়ামতসমূহের মধ্য হতে সবচেয়ে বড় নেয়ামত আর তা মিলবে কীভাবে? ইমাম গাযালি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এটা (আখিরাতের সবচেয়ে বড় নেয়ামত) এই অবস্থায় মেলে যে বান্দা দুনিয়াতে আল্লাহ পাকের উপর সন্তুষ্ট থাকে।
একবার বনী ইসরাইল হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام এর খেদমতে আরয করলো: হে আল্লাহ পাকের নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আল্লাহ পাকের কাছে এমন আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন যখন আমরা তা আমল করবো তখন আল্লাহ পাক আমাদের উপর রাজি হয়ে যাবেন। হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام আল্লাহ পাকের দরবারে বনী ইসরাইলের আরজি পেশ করলেন, এতে আল্লাহ পাক বললেন: হে মূসা! বনী ইসরাইলদের বলে দাও! তারা যেনো আমার উপর রাজি থাকে, আমি তাদের উপর রাজি হয়ে যাবো।
(ইহইয়াউল উলুম, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ১৬০)
শায়খ আবু আলী দাক্কাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর এক শাগরিদ বলতেন: আমি যদি এটা জানতে পারতাম যে আল্লাহ পাক আমার উপর রাজি আছেন নাকি নেই? জিজ্ঞাসা করা হলো: তা কীভাবে? বললেন: আমি আল্লাহ পাকের উপর রাজি হই তো তিনিও আমার উপর রাজি আছেন ।
(রিসালা কুশাইরিয়া, ৩৫৮ পৃষ্ঠা)