Book Name:ALLAH Ki Riza Sab Se Bari Cheez Hai
ইচ্ছায় চলে, এজন্য আমাদেরও উচিত যে দরিদ্রতা আসুক, পেরেশানি আসুক, বিপদ আসুক, যা কিছু হোক না কেন, আমরা আল্লাহ পাকের ফয়সালার উপর রাজি থাকবো, কখনো মুখে কোনো অভিযোগ আনবো না।
আল্লাহ পাক যে অবস্থায় রাখেন, তাই ভালো
ইমাম শা’রানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: বান্দার জন্য শানে বন্দেগি হলো যে বান্দা প্রত্যেক অবস্থায় আল্লাহ পাকের উপর সন্তুষ্ট থাকা, কোনো ক্ষেত্রেও অন্তরে পেরেশানি আসতে না দেয়া, যা কিছু দান করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি কিছু আশা না কর। এজন্য যে আল্লাহ পাক আমাদের মঙ্গলের ব্যাপারে আমাদের চেয়ে অধিক অবগত, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ عَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَ عَسٰۤی اَنۡ تُحِبُّوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ شَرٌّ لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ (۲۱۶)
(পারা ২, বাকারা, আয়াত ২১৬)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং সম্ভবতঃ তোমাদের নিকট কোন বিষয় অপছন্দ হবে অথচ তা তোমাদের পক্ষে কল্যাণকর হয়; এবং সম্ভবতঃ কোন বিষয় তোমাদের পছন্দনীয় হবে অথচ তা তোমাদের পক্ষে অকল্যাণকর হয়। আর আল্লাহ্ জানেন এবং তোমরা জানো না।
ইমাম শা’রানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এটা থেকে বোঝা গেলো আল্লাহ পাক যা কিছু দান করেছেন যেই অবস্থায় রেখেছেন, যদি বান্দা তা ব্যতীত ভিন্ন কিছু আশা করে তবে সে মূলত এটা দাবী করে যে সে আল্লাহ পাকের চেয়ে বেশি জ্ঞানী আর বান্দা মূর্খ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট।
(আনওয়ারূল কুদসিয়া ফি বয়ান আদাবুল আবুদিয়া, ৩০ পৃষ্ঠা)
হযরত লোকমান হাকিম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে, তিনি একদিন তাঁর ছেলেকে বললেন: তোমার সামনে যে কোনো বিষয় আসুক, তোমার ভালো লাগুক বা মন্দ, তোমার অন্তরে এটাই রাখো যে তা তোমার জন্য উত্তম। ছেলে বললো: বাবাজান! এই বিষয়টি একটু ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিন! এরকম কিভাবে হতে পারে যে প্রতিটি বিষয় আমার জন্য উত্তমই হবে? হযরত লোকমান হাকিম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: এক জনপদে