পেলে খুশি হও, তখন বলা হবে তুমি আল্লাহ পাকের উপর সন্তুষ্ট। (ইহয়াউল উলুম, খন্ড: ৫, পৃষ্ঠা: ১৬৬)

    উদাহরণস্বরূপ যদি কেউ এসে বলে যে তুমি কোটি টাকার লটারি জিতেছো তখন আমাদের অন্তরের অবস্থা কেমন হবে? আমরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাবো, মন খুশি হয়ে যাবে, মুখ উজ্জল হয়ে যাবে, এমন মনে হবে যে হয়তো কোনো স্বপ্ন দেখছি। অন্যদিকে যদি কেউ এসে বলে: তোমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো, তখন আমাদের অন্তরের অবস্থা কেমন হবে? অন্তর পেরেশানিতে ডুবে যাবে, চেহারায় দুশ্চিন্তার প্রভাব স্পষ্ট হবে। হায় আমি শেষ হয়ে গেলাম, বরবাদ হয়ে গেলাম- হয়তো এমন কথা বলতে থাকবো।

    হযরত রাবিয়া বসরিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا এর বাণীর উদ্দেশ্য হলো যেমনিভাবে মানুষ ধন সম্পদ পেয়ে খুশি হয়, তেমনিভাবে সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সংবাদ শুনেও খুশি হতে হবে, তখন সেটাকে বলা হবে এই ব্যক্তি আল্লাহ পাকের উপর সন্তুষ্ট।

ভালো, মন্দ তকদীর আল্লাহর পক্ষ থেকে

    প্রিয় ইসলামী বোনেরা! এটা কোনো অস্বাভাবিক বিষয় নয়, আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়ে ও শুনে আসছি: وَالْقَدْرِ خَیْرِہٖ وَشَرِّہٖ مِنَ اللهِ تَعَالیٰ তকদীরে প্রতিটি ভালো মন্দ বিষয় আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে আসে, * আমরা নিয়ামত প্রাপ্ত হই এটাও আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে * কোনো মুসিবত আসে তো তাও আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে * সম্পদ মিলে, এটাও আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে * দরিদ্রতার সম্মুখীন হই তো তাও আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে * সুস্থতা আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে * অসুস্থতাও আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে, মোটকথা তকদীরের প্রতিটি ভাল ও মন্দ আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে। সুতরাং যখন মানুষ এটা স্বীকার করে যে আল্লাহ পাক তার প্রতিপালক হওয়াতে সে সন্তুষ্ট তখন তার উচিৎ যে আল্লাহ পাকের প্রতিটি ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকা। যদি নিয়ামত পাওয়াতে খুশি হয় তাহলে বিপদের সময়ও খুশি থাকা। আল্লাহ পাকের কোনো ফয়সালার উপরই অসন্তুষ্ট না হওয়া এবং মুখে অভিযোগ না করা।

হ্যাঁ! আল্লাহ পাকের কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ও সহজতার দোয়া করাতে কোনো অসুবিধা নেই!