ALLAH Ki Riza Sab Se Bari Cheez Hai

Book Name:ALLAH Ki Riza Sab Se Bari Cheez Hai

মানে, বান্দা ঐসব কিছুকে অস্বীকার করে সত্য মনে স্বীকার করবে যে আল্লাহ এক, তিনি ব্যতীত কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়, তিনিই আমার প্রতিপালক, তিনিই আমাকে রিযিক দান করেন, তিনিই আমাকে পালন করেন, তিনি আমাকে শ্বাস দান করেছেন, তিনিই আমাকে জীবন দান করেছেন, তিনি ব্যতীত কোনো প্রতিপালক ছিলো না, আর কেউ হবেও না (আল মাফহুম লিমা আশকাল মিন তালখিস মুসলিম, খন্ড, পৃষ্ঠা: ২১০)

    সন্তুষ্টির এই স্তরটি আমাদের ঈমানের মূল, তা ব্যতীত কেউ মুসলমান হতেই পারে না

 

সন্তুষ্টির দ্বিতীয় স্তর

    আল্লাহ পাক আমার রব এর উপর রাজি হয়ে যাওয়াটা আরেক স্তর, যার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হুযুর দাতা গঞ্জেবখশ আলী হাজভেরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সন্তুষ্টি হলো এই যে পাওয়া না-পাওয়া উভয় ক্ষেত্রে অন্তরের অবস্থা একইরকম থাকা (কাশফুল মাহযুব, পৃষ্ঠা: ২৫৫)

    অর্থাৎ আল্লাহ পাক নিয়ামত দান করেছেন, তখনো অন্তর প্রশান্ত থাকা আর আল্লাহ পাকে পক্ষ থেকে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছেন তখন অবস্থায়ও অন্তর প্রশান্ত থাকা, একে বলে আল্লাহ পাক প্রতিপালক হওয়ার ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকা

আল্লাহ পাকের উপর রাজি হওয়া কাকে বলে?

    হযরত রাবিয়া বসরিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا আল্লাহ পাকে একজন অলী, অনেক নেককার ইবাদতগুজার ছিলেন একদিন তিনি উপস্থিত ছিলেন, তাঁর সামনে এক ব্যক্তি দোয়া করলো: হে আল্লাহ পাক! আমার উপর রাজি হয়ে যাও

    এই দোয়া করা অবশ্যই জায়িয, সাধারণত এমন দোয়া করাও হয় কিন্তু আউলিয়ায়ে কামিলীনের ধরন অন্যরকমতো, হযরত রাবিয়া বসরিয়া رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہَا যখন ব্যক্তির মুখ থেকে এই দোয়া করতে শুনলেন তখন বললেন: হে লোক! তোমার কি লজ্জা করছে না! আল্লাহ পাকে কাছে তাঁর সন্তুষ্টির দোয়া করছো অথচ খোদ তুমি তাঁর উপর রাজি নও

    কাছে বসা এক ব্যক্তি বললো: বান্দা আল্লাহ পাকের উপর রাজি হয়ে যাওয়ার অর্থ কী? বললেন: যখন তোমরা বিপদের সময়ও ঐভাবে খুশি হবে যেভাবে নিয়ামত