Book Name:Ittiba e Shehwat Ki Tabah Kariyan
একইভাবে দ্বিতীয় আয়াতে মুনাফিক্বদের নিন্দা করেছেন, তারা প্রবৃত্তির অনুসরণে পড়ে অপমানিত ও অপদস্থ হয়েছে। এখন তারা অন্তরের বিদ্বেষ ও শত্রুতার ফলে চায় যে, মুসলমানদেরও যেনো এই কু অভ্যাসে লিপ্ত করে দেয়া যায়।
বর্তমানে মুসলমানদের আমলের অবস্থা দেখে এটাই ধারণা হয় যে, অমুসলিম জাতিগুলো তাদের এই নাপাক ষড়যন্ত্রে সফল হতে দেখা যাচ্ছে। আজ মুসলমান নফস ও শয়তানের ধোঁকায় পড়ে তার কুপ্রবৃত্তির অনুসরণে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কুপ্রবৃত্তির অনুসরণে পশ্চিমাদের সংস্কৃতি এবং অপরদের আচরণ ও অভ্যাসে প্রভাবিত হয়ে তাদের মত কাজ করাতে আল্লাহর পানাহ গর্ববোধ করে। পুরুষরা নারীদের মতো পোশাক তাদের অভ্যাস বানিয়ে নিয়েছে, মহিলারা পর্দা কে ছেড়ে দিয়ে বাজার ও গলিতে বেপর্দা ঘুরাফেরা করা, ফ্যাশনের নামে সংকুচিত আঁটসাঁট পোশাক পড়ে কুদৃষ্টির মাধ্যম হওয়াকে যেনো নিন্দনীয় মনেকরা ছেড়ে দিয়েছে। বাচ্চাদের লালনপালনের অবস্থা এই যে, তাদের দ্বীনী ইলম শেখানোর পরিবর্তে দুনিয়াবী ইলম শেখানো হয়। যদি বাচ্চা একটু মেধাবী হয় তাহলে তাকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, কম্পিউটার প্রোগ্রামার বানানোর ইচ্ছা জেগে উঠে। এই ইচ্ছাপূরণের জন্য দ্বীনী শিক্ষা ছেড়ে শুধু দুনিয়াবী শিক্ষা অর্জনের প্রতি মনোযোগ দেয়া হয়।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিজের এবং নিজের সন্তানসন্ততির সংশোধনের জন্য এবং তাদেরকে ছোটকাল থেকেই আখিরাতের প্রতি চিন্তার মনমানসিকতা দেয়ার জন্য দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যান। এই মাদানী পরিবেশের বরকতে অসংখ্য ফ্যাশনের পুজারী লোকজন তাওবা করে সুন্নাতের পথে চলতে শুরু করেছে।